ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সালেহ আহাম্মেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার আভিযোগে মামলা করছেন এক গৃহবধূ (২৬)। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে হালুয়াঘাট থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম খান বলেছেন, ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক রয়েছে। তবে চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। চেয়ারম্যান সালেহ আহাম্মেদ এক সময় জাতীয় পার্টি করতেন।
২০০৮ সালে তিনি প্রয়াত প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিনের হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তাঁর ছেলে সেলিম আহাম্মেদ বাবার রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সালেহ আহাম্মেদকে কয়েক দফা মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শেরপুরের নকলা উপজেলার বাসিন্দা ওই তরুণীর সঙ্গে ১০ বছর আগে হালুয়াঘাট উপজেলার এক ব্যক্তির বিয়ে হয়। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে হয়। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সাত বছর বয়সী মেয়েকে রেখে শিশু ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান ওই গৃহবধূ। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার সঙ্গে শিশু মেয়ের দেখা-সাক্ষাৎ তো দূরের কথা এমনকি ফোনেও কথা বলতে দিচ্ছে না।
এ ঘটনার পর চেয়ারম্যান সালেহ আহাম্মেদের সঙ্গে ওই গৃহবধূর পরিচয় হয়। চেয়ারম্যান তাকে মেয়ে উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঢাকা থেকে হালুয়াঘাটে শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে আসতে বলেন। কথা মতো তিনি চেয়ারম্যানের পৌর শহরের বাগান বাড়িতে যান দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে। এ সময় বাসায় কেউ না থাকায় চেয়ারম্যান ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। ওই গৃহবধূ দৌঁড়ে বাইরে বেরিয়ে এসে স্থানীয়দের সব খুলে বলেন। বিষয়টি গড়ায় পুলিশ পর্যন্ত। এরপর শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মামলা করেন ওই গৃহবধূ। মামলার পর থেকেই পলাতক রয়েছে চেয়ারম্যান সালেহ আহাম্মেদ।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর
আপনার মতামত লিখুন :