• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

না.গঞ্জে শিক্ষক লাঞ্ছনায় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের


আদালত প্রতিবেদক  আগস্ট ১০, ২০১৬, ০৬:২৪ পিএম
না.গঞ্জে শিক্ষক লাঞ্ছনায় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

নারায়ণগঞ্জে স্কুল শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে ওঠবস করানোর পুরো ঘটনা তদন্ত করে আগামী ৩ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করতে ঢাকা মহানগর হাকিমকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ৬ নভেম্বর পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (১০ আগস্ট) বিকেলে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, ‘শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনকে আদালত অশোভনীয় ও অসম্পূর্ণ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এই প্রতিবেদন আমলে নেয়ার বিচারক “জুডিশিয়াল মাইন্ড অ্যাপ্লাই” করেননি বলে আদালত বলেছেন। পুলিশ এ বিষয়ে শ্যামল কান্তির সঙ্গে কোনোরূপ যোগাযোগ করেনি। আমরা আদালতের কাছে এফিডেভিট আকারে জমা দিয়েছি।’

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে ওঠবস করানোর ঘটনাটিকে আকস্মিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে পুলিশের প্রতিবেদনে। এতে শিক্ষক শ্যামল কান্তির জবানবন্দি উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টির স্থানীয় সাংসদ এ কে এম সেলিম ওসমান ও তিনি দু’জনেই পরিস্থিতির শিকার। শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় বন্দর থানায় দায়েরকৃত জিডি তদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য রয়েছে।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে (৭ আগস্ট) রোববার জিডির এই প্রতিবেদন দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি নিয়ে আদালত পরবর্তী আদেশের জন্য ১০ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত ১৩ মে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লাঞ্ছিত করা হয় শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের কঠোর সমালোচনা করেন। তবে এ ঘটনায় সেলিম ওসমান নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম
 

Wordbridge School
Link copied!