• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফুটবলে আশার আলো সাদ


ক্রীড়া প্রতিবেদক মে ৪, ২০১৭, ০৫:১২ পিএম
ফুটবলে আশার আলো সাদ

ঢাকা: ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা,
ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ,
আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা।
রক্ত আলোর মদে মাতাল ভোরে
আজকে যে যা বলে বলুক তোরে,
সকল তর্ক হেলায় তুচ্ছ ক’রে
পুচ্ছটি তোর উচ্চে তুলে নাচা।

আয় দুরন্ত, আয় রে আমার কাঁচা...

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লিখা কবিতার এই লাইনগুলো হৃদয়ে ধারণ করে মাঠে নেমে ছিলেন কিনা, তা অবশ্য জানা জায়নি। তবে দেশের সম্মানের বিষয়টি মাথায় ছিল। দেশের জন্য কিছু করতে হবে, পিছিয়ে পড়া ফুটলকে এগিয়ে নিতে হবে এমন তাড়না ছিল। এমন মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়েই দলের দুঃসময়ে মাঠে নেমেছিলেন। বৃহস্পতিবার (৪ মে) সোনালীনিউজ ডটকমকে এমনটিই জানালেন ঢাকা আবাহনীর তরুণ উদীয়মান ফুটবলার সাদ উদ্দিন। সংক্ষিপ্ত আকারে পাঠকদের সেটিই জানাচ্ছেন ক্রীড়া প্রতিবেদক এম জাফিউল ইসলাম।

বুধবার (৩ মে) এএফসি কাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে শক্তিশালী ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে অবাহনীকে দুর্দান্ত এক জয় এনে দিয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের খেলার ৮০ মিনিট পর্যন্ত কোনো গোলই হয়নি। ৮১ মিনিটে ডিফেন্ডার নাসিরুদ্দিন চৌধুরী দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশ জনের দলে পরিণত হয় আবাহনী। এই অবস্থায় ইমন বাবুর বদলি হিসেবে মাঠে নেমে চমক দেখালেন সাদ উদ্দিন। ৮৭ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে দারুণ এক শটে আকাশি হলুদ শিবিরকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন তিনি।

মাঠে নামার আগে কি ভাবছিলেন এমন প্রশ্নে সাদ উদ্দিন বলেন, দেশের জন্য কিছু করতে হবে। পিছিয়ে যাওয়া ফুটবলকে জাগিয়ে তুলতে হবে। আমার ভাবনায় এটিই ছিল। আর এই কাজটি ভালোভাবে করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। খুব ভালো লাগছে দলের জন্য এবং দেশের জন্য কিছু করতে পেরে।

গত মৌসুমে আবাহনীর হয়ে খেললেও সাইড বেঞ্চে বসে সময় কেটেছে সাদের। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শেখ কামাল ক্লাব কাপে খেললেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেন নি। কালকের ম্যাচেও প্রথমার্ধে সাইড বেঞ্চে বসে কেটেছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি কখনই নার্ভাস হইনি। সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলাম। সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পেরে আমি আনন্দিত।

আগের টানা তিন ম্যাচে হেরে আগেই দ্বিতীয় রাউন্ডের আশা শেষ আবাহনীর। তাই এই জয়ে এএফসি কাপে কোনো লাভ হবে না। এ প্রসঙ্গে সাদ বলেন, এই জয় এএফসি কাপের পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার কোনো সুযোগ মিলবে না। তবে আমাদের দেশের ফুটবলে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে। এখান থেকেই সামনে এগুনোর প্রেরণা খুঁজে পাবে।

মুলত অনূর্ধ্ব-১৬ দল থেকেই উঠে এসেছেন সাদ উদ্দিন। অনূর্ধ্ব-১৬ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে তার গোলেই আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল বাংলাদেশ। এবং চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল লাল সবুজের দল। এ বিষয়ে এই এই ফরোয়ার্ড বলেন, অনূর্ধ্ব-১৬ দলে খেলেই আবাহনীর মতো দলে খেলার সুযোগ পেয়েছি আমি। অনূর্ধ্ব-১৬ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আমার জন্য টার্নিং পয়েন্ট ছিল।

ভবিষ্যতে দেশের জন্য আরো সম্মান বয়ে আনতে চান সাদ। এ জন্য দেশবাসীর নিকট দোয়া প্রার্থনা করেছেন উদীয়মান এই ফুটবলার।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!