• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

বাংলাদেশে মাথাপিছু সম্পদের দাম ১০ লাখ টাকা


অর্থনৈতিক রিপোর্ট ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৮, ১০:৩৯ এএম
বাংলাদেশে মাথাপিছু সম্পদের দাম ১০ লাখ টাকা

ঢাকা : অর্থনৈতিক উন্নতিতে প্রাকৃতিক সম্পদে একক নির্ভরতার দিন ফুরিয়ে আসছে বলে মনে করে বহুজাতিক উন্নয়ন সংস্থা বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক সম্পদ নির্ভর অন্তত দুই ডজন দেশের মাথাপিছু সম্পদের মূল্য বেশ কয়েক বছর ধরে স্থবির আছে। বেশ কয়েকটি দেশে সম্পদের মাথাপিছু পরিমাণ কমছে। ১৪১টি দেশের সম্পদ ও আয়ের ধারা নিয়ে তৈরি করা প্রতিবেদনটিতে এসব বিষয় উঠে এসেছে।
 
বিশ্বব্যাংকের সদর দফতর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশ করা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমানে মাথাপিছু সম্পদের বাজারমূল্য ১২ হাজার ৭১৪ মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ ১৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে উৎপাদিত সম্পদের বাজার মূল্য ৩ হাজার ৪৩৪ ডলার। প্রাকৃতিক সম্পদের মাথাপিছু মূল্য ধরা হয়েছে ২ হাজার ২৩৪ ডলার। বাংলাদেশে মাথাপিছু ১ হাজার ৫০১ ডলার মূল্যমানের চাষযোগ্য জমি আছে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। আর মানব সম্পদের মূল্য ধরা হয়েছে মাথাপিছু ৭ হাজার ১৭০ ডলার।

প্রতিবেদনে বিভিন্ন দেশের ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ের প্রাকৃতিক সম্পদ, মানব সম্পদ, উৎপাদিত সম্পদ ও বিদেশে থাকা সম্পদের তথ্য পর্যালোচনা করা হয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তথ্য ব্যবহার করার প্রচলিত ধারা থেকে বের হয়ে দেশগুলোর মোট সম্পদের পরিমাণের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি অর্থনীতির ধারণক্ষমতার তথ্যও ব্যবহার করা হয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী মোট সম্পদের বড় অংশ এখন মানব সম্পদ। আর দরিদ্র দেশগুলোর অর্ধেকের বেশি সম্পদের উৎস প্রকৃতি। অর্থনৈতিক উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখতে মানব সম্পদ ব্যবহারে দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জিম জং কিম বলেন, প্রাকৃতিক ও মানব সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বের প্রায় সব দেশ নিজেদের সম্পদ বাড়ানোর পাশাপাশি বাড়তি সক্ষমতা অর্জন করতে পারে। মানব সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিশ্বব্যাংক বিভিন্ন দেশে অর্থ বিনিয়োগ করছে। মানব সম্পদকে সবচেয়ে বড় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা না করলে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না বলে তিনি মনে করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে বিশ্বের মোট সম্পদের বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ হাজার ১৪৩ লাখ কোটি মার্কিন ডলারে। ১৯৯৫ সালে এর পরিমাণ ছিল ৬৯০ লাখ কোটি ডলার। এ সময়ে বিশ্বব্যাপী সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৬৬ শতাংশ। সম্পদের পরিমাণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অসমতা। নিম্ন আয়ের দেশগুলোর তুলনায় বর্তমানে ওইসিডিভুক্ত উন্নত দেশগুলোর মাথাপিছু আয় ৫২ গুণ বেশি।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে নিম্ন আয়ের দেশে মাথাপিছু সম্পদের পরিমাণ কমেছে। ২০০৯ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার পর মধ্যপ্রাচ্যের কয়লাসমৃদ্ধ কয়েকটি দেশের পাশাপাশি উন্নত কয়েকটি দেশের সম্পদের পরিমাণও কমেছে। এর ফলে এসব দেশের আয়ও ভবিষ্যতে কমতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!