• ঢাকা
  • শনিবার, ১১ মে, ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়ে লাভ কী: কাদের


নিজস্ব প্রতিবেদক   জানুয়ারি ১০, ২০১৭, ০৭:৪২ পিএম
বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়ে লাভ কী: কাদের

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা কর্মসূচি দিয়ে ঘরে বসে থাকেন, তাই তাদের সমাবেশের অনুমতি দিয়েই লাভ কী? আওয়ামী লীগে শুদ্ধি অভিযান চালানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বুধবার (১১ জানুয়ারির) পর দলের পরগাছাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডিতে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার ব্যাপারে সেতুমন্ত্রী বলেন, যে দলের নেতারা কর্মসূচি দিয়ে ঘরে বসে থাকেন, তাহলে সেই দলের কর্মী আসবে কোথা থেকে!  আর তাদের সমাবেশের অনুমতি দিয়েই বা লাভ কী?

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন পথহারা পথিক। যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, তারা নির্বাচনে জয়ী হতে পারে না।

এক সাংবাদিকের প্রশ্নে তিনি বলেন, ব্যর্থতা-হতাশায় বিএনপি এখন বেপরোয়া। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকার বা বিরোধী দল, যেখানেই থাকুক, সব সময় রাজপথে থাকে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ একটা বড় দল। তাই দলে কিছু সমস্যা থাকতেই পারে। আর দলের মধ্যে যেসব পরগাছা, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগ। ১১ জানুয়ারির পর থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দিবসটি উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আওয়ামী লীগ ও তার বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী-সমর্থকসহ সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান।

ভোর সাড়ে ৬টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা মিছিল করে ৩২ নম্বর সড়কের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের মোড়ে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ৭টার মধ্যেই সর্বস্তরের মানুষের ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ৩২ নম্বর সড়ক ও আশপাশের এলাকা।

শিশু-কিশোরসহ হাজার হাজার নারী-পুরুষ বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির জনকের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। সকাল ১০টার মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ফুলে ফুলে ভরে যায়।

সকাল ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে সরকার প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও এনামুল হক শামীম, আইনবিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতিন খসরু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিলসহ দলের সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ভবন ত্যাগ করার পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণসহ দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী-সমর্থক এবং সর্বস্তরের মানুষ সারিবদ্ধভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন। এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ কৃষক লীগ, আওয়ামী স্বোচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতা ও কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!