• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিডিআর হত্যা মামলার রায় হচ্ছে না আজ


আদালত প্রতিবেদক নভেম্বর ২৬, ২০১৭, ০১:৫৩ পিএম
বিডিআর হত্যা মামলার রায় হচ্ছে না আজ

ফাইল ছবি

ঢাকা: পিলখানার বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে হত্যাযজ্ঞের মামলার হাইকোর্টের রায় পড়া শেষ হচ্ছে না। তিন বিচারপতির আলাদা পর্যবেক্ষণের পরই রায়টি দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে রায়ের পর্যবেক্ষণ পড়তে শুরু করেন বিচারপতি জাফর আহমেদ সিদ্দিকী, দুপুরের বিরতির পর পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবেন আরেক বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার। আগামীকাল অপর বিচারপতি শওকত হোসেন চৌধুরী তার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরার পরই চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হবে।

তিন বিচারপতির পর্যবেক্ষণ আলাদা হলেও রায়ের বিষয়ে তারা ঐক্যমতে পৌঁছেছেন বলেও জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। রায়ের কপিটি ১১ হাজার পৃষ্ঠার বলেও উল্লেখ করেন মাহবুবে আলম।

এর আগে গত ১২ নভেম্বর থেকে হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ২৬ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য রাখা হয় আপিল মামলাটি। 

প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের শুনানি ও যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন শেষে গত ১৩ এপ্রিল মামলাটির রায় ঘোষণা অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন হাইকোর্ট। 

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর সদর দফতরে ৫৭ জন সেনা সদস্যসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জন বিডিআর সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। 

৮৪০ জন আসামির মধ্যে আরও ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন, ২৫১ জনকে তিন থেকে দশ বছরের কারাদণ্ড এবং ২৭৭ জনকে খালাস দেয়া হয়।

পরে রায়ের বিরুদ্ধে খালাসপ্রাপ্ত ২৭৭ জনের মধ্যে ৬৯ জন আসামির সাজা চেয়ে হাইকোর্টে ফৌজদারি আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দায়ের করেন রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত ৪১০ জন আসামির সাজা বাতিল চেয়ে রায়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আপিল করেন তাদের আইনজীবীরা।

পরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড ও কয়েকজনের সাজা বাড়াতে আরো দু’টি আবেদন জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপক্ষ। তবে দেরিতে আবেদন করায় গত ১৩ এপ্রিল আবেদন দু’টি বাতিল করে দেন হাইকোর্ট। 

এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে গত ৬ জুন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের বাতিলের আদেশটিই বহাল রাখেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখিয়েছি অপরাধ কাদের এবং কাদের অপরাধ এত বেশি গুরুতরও তা মার্জনও করা যায়না। সে মতে রাষ্ট্র বিচার পাবে।’ স্পর্শকাতর মামলা হওয়ায় ঢালাও ভাবে আসামিদের দণ্ড দেয়া হয়েছিলো, উচ্চ আদালত এ বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে মনে করেন আসামিপক্ষ।

অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘সাক্ষ্য প্রমাণে যেটা এসেছে যাদের ১৬৪ নাই তাদের বহাল রাখা, যাদের ১৬৪ দিয়েছেন,তাদেরেকে কতটা নির্যাতনের মধ্য দিয়েছে তাও দেখতে হবে।’ বিডিআর হত্যা মামলাটি হাইকোর্টে নিষ্পত্তি হতে চললেও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা অপর মামলাটির বিচার চলছে সাড়ে আট বছর ধরে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!