• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মওদুদের নাইকো দুর্নীতি মামলার স্থগিতাদেশ বাড়িয়েছে আপিল বিভাগ


আদালত প্রতিবেদক মে ৭, ২০১৭, ১২:১২ পিএম
মওদুদের নাইকো দুর্নীতি মামলার স্থগিতাদেশ বাড়িয়েছে আপিল বিভাগ

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রমের ওপর  স্থগিতাদেশ বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে মামলার কার্যক্রম স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে মওদুদকে নিয়মিত (লিভ টু) আপিল করতে বলা হয়েছে।

রোববার (০৭ মে) শুনানী শেষে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বধীন আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। মামলায় মওদুদ নিজেই শুনানী করেন । অপরদিকে দুদুকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।

এর আগে ১২ এপ্রিল বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মওদুদের মামলার স্থগিতাদেশ বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। এর ফলে ওই মামলা বিচারিক আদালতে চলতে বাধা কেটেছে বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা।

হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে পরে আপিল করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরদিন ১৩ এপ্রিল আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি রায় স্থগিত করে ৭ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে  দেন।

এর আগে গত ১ ডিসেম্বর মওদুদের নাইকো মামলার কার্যক্রম ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। তার করা এক ফৌজদারি রিভিশন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি শেখ আব্দুল আউয়াল ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে দুদক গত ৭ ডিসেম্বর লিভ টু আপিল করলে আপিল বিভাগ ১৯ জানুয়ারির মধ্যে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। গত ৪ জানুয়ারি বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল শুনানিতে বিব্রতবোধ করেন।

পরে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা রুলটি শুনানির জন্য বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পাঠান। হাইকোর্টের সেই বেঞ্চ গত ১২ এপ্রিল রুলটি খারিজ করে দেন।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

পরের বছর ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। যেখানে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!