• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গারা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক নভেম্বর ১৭, ২০১৬, ০৪:০৫ পিএম
প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গারা

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় মুসলিম অধুষ্যিত রাখাইন রাজ্যে গত ৯ অক্টোবর থেকে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে দেশটির সেনাবাহিনী। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, ওই অভিযানে নির্মম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে স্থানীয় রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়। সামরিক বাহিনীর ওই নির্যাতন থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গারা ব্যাপকহারে বাংলাদেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেছে বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাফ নদী পাড়ি দেয়ার সময় কিছু রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অনেকে নৌকায় করে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করলেও তাদের পুশব্যাক করছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। এর আগে ২০১২ সালে রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সময়েও বৌদ্ধপ্রধান দেশটি থেকে রোহিঙ্গারা ব্যাপকহারে বাংলাদেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেছিল।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ১৩০ রোহিঙ্গাকে তারা হত্যা করেছে। ২০১২ সালের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পর বর্তমান অভিযানটি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযান। স্থানীয় বাসিন্দা ও মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ, রাখাইন অঞ্চলের মানুষের ওপর মিয়ানমার সেনারা নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন। সেখানকার নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে এবং বাড়িঘরে আগুন দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তারা। জাতিসংঘের মতে, রোহিঙ্গারা বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত সম্প্রদায়ের একটি।

কক্সবাজার সেক্টরে বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আনোয়ারুল আজিম আল জাজিরাকে বলেন, ‘টেকনাফ সীমান্ত পয়েন্টে মঙ্গলবার পর্যন্ত তারা ২৫ শিশু ও ৪০ নারীসহ মোট ৮৬ রোহিঙ্গাকে পুশব্যাক করেছেন।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রোহিঙ্গারা তাদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারছেন না। তারা বিভিন্ন নৌযানে সাগরের মাঝে আটকা পড়ে আছেন। এদিকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের একজন নেতা এএফপিকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা মুসলিম আটকা পড়ে আছেন।

মিয়ানমার সরকার মনে করে, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে তাদের দেশে অবৈধভাবে পাড়ি জমিয়েছিল। যদিও গবেষকদের মতে, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারেরই নাগরিক। এই সম্প্রদায়টির ওপর বিভিন্ন রকমের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে সেখানকার সরকার। এমনকি তাদের নাগরিকত্বও দেয়া হয় না।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার বাস। গত ৯ অক্টোবর রাজ্যের কয়েকটি সীমান্ত ফাঁড়িতে বেশ কিছু হামলার ঘটনার পর থেকে সেখানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে সেনারা। ওই এলাকায় সাংবাদিক এবং সাহায্যকর্মীদের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় এখনো নীরব রয়েছেন মিয়ানমারের শান্তিতে নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি।ওই অঞ্চলে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনে কূটনৈতিকদের দাবিও তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন।

সোনলীনিউজ/ ঢাকা/ আরএস

Wordbridge School
Link copied!