ঢাকা: ‘স্যার, আপনার কাছে আমার একটা অনুরোধ, আপনি ওর (স্বপন) পরিবারকে দেখবেন। আর ব্যবস্থা নেবেন যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’ মেয়র সাঈদ খোকন কাছে পেয়ে কান্না বিজড়িত কণ্ঠে এভাবেই বলছিলেন মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভার দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল করিম (৫০)।
সেদিনের ভয়াবহ দুর্ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে করিম আরো বলেন, ‘স্যার অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। কাল রাতে (সোমবার) আমি আর স্বপন (নিহত ব্যক্তি) একসাথে রেলক্রসিং পার হচ্ছিলাম। আমি একটু আগে ছিলাম, আর স্বপন আমার পিছনে। কিছু বুঝে উঠতে পারিনি। হঠাৎ ঐটা ভেঙে পড়লো। আমি ততক্ষণে রাস্তা পার হয়ে গেছি।’
সোমবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগ রেলগেটের পাশে ফ্লাইওভার দুর্ঘটনায় স্বপন নিহত হন। ওই সময় তার সঙ্গে ছিলেন করিম। তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন।
পরদিন সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। সে সময় সাংবাদিক আর উৎসুক জনতার ভিড় ঠেলে হঠাৎই মেয়েরের সামনে চলে আসেন আব্দুল করিম। এরপর কাঁদতে কাঁদতে বর্ণনা করেন ভয়াবহ ঘটনার করুণ স্মৃতি।
করিম দীর্ঘদিন ধরে কলা বিক্রি করছেন মালিবাগ রেলগেটে। একেবারেই ভাগ্যের জোরে তিনি বেঁচে গেছেন।
করিমের মতো মালিবাগে বিভিন্নভাবে জীবিকা নির্বাহ করা ভুক্তভোগীরা মেয়রকে বলেন, দুর্ঘটার পর থেকে সবার মনে আতঙ্ক ও ক্ষোভ দেখা গেছে। শঙ্কা নিয়ে চলাফেরা করছেন সবাই। তারা চান ফ্লাইওভার যেন প্রাণনাশের হুমকি না হয়ে ওঠে। যেন বেঘোরে আর কারো প্রাণ না যায়। এটা যেন সরকার ও সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করে।
ফ্লাইওভার দুর্ঘটনা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দায়ীদের যথোপযুক্ত শাস্তি বিধানের পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে স্থানীয় বাসিন্দারা মেয়রের কাছে বেহাল সড়ক ও এই সড়ক দিয়ে চলাচলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন। যত দ্রুত সম্ভব এই ভোগান্তির অবসান ঘটানো হবে বলে মেয়র তাদের আশ্বাস দেন।
সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই
আপনার মতামত লিখুন :