• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

পরীক্ষা না দিতে পেরে মেডিকেল ছাত্রীর আত্মহত্যা


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১৯, ২০১৭, ০৯:৪৭ পিএম
পরীক্ষা না দিতে পেরে মেডিকেল ছাত্রীর আত্মহত্যা

ঢাকা: মেধাবী ছাত্রী খুশির বাবা-মায়ের ইচ্ছে ছিল মেয়ে মেডিকেলে লেখাপড়া শেষ করে বড় ডাক্তার হবে। বাবা-মায়ের সেই স্বপ্ন এক নিমিষেই শেষ হয়ে গেল হাবীবা কুলসুম খুশির (২০) আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে।

বুধবার(১৯ জুলাই) দুপুর নিজের রুমে গলায় ওড়না পেচিঁয়ে খুশি আত্মহত্যা করেন বলে পারিবারিকভাবে জানানো হয়েছে। নিহত খুশি ঢাকার উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী। পরিবারের পক্ষ জানানো হয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা দিতে পারেননি খুশি। পরীক্ষার সময়ে তার পক্স হয়েছিল। এটি নিয়ে অনেক সময়ে হতাশ হয়ে থাকতো খুশি। এই হতাশা থেকেই নিজের ওড়না গলায় পেচিঁয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি।

উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডের ৩১ নম্বর বাসায় খুশির পরিবার থাকেন। ঢাকা মেডিকেলে ময়নাতদন্তের পরে গ্রামের বাড়ি নওগাঁর সদর উপজেলার পাহাড়পুরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তার লাশ। খুশির মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সবাই ছুটে যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে। এ সময় সহপাঠিদের কান্নায় হাসপাতালের আকাশ ভারী হয়ে উঠে।

হাসপাতালে উপস্থিত থাকা সহপাঠিরা বলেন, ও(খুশি) সব সময় হাসিখুশি থাকতো, অনেক মেধাবী ছিল। গত এক মাস আগে আমাদের প্রথম সেমিষ্টার পরীক্ষা হয়। শরীরে পক্স উঠায় ওই সেমিষ্টারে অংশ নিতে পারেনি খুশি। এরপর থেকে তার মধ্যে কিছুটা হতাশা লক্ষ্য করা যায়। যখন তার মৃত্যুর সংবাদ পায় তখন নিজেদের সামলে উঠতে পারেনি খুশির সহপাঠিরা। এমন মেধাবী ছাত্রী হতাশা নিয়ে হঠাৎ করে চলে যাবে, তা কখনো কল্পনাতেও আনতে পারেনি সহপাঠিরা । 

নিহত খুশির মামা আউয়াল হোসেন বলেন, আমার ভাগ্নি ছিল অনেকটাই শান্ত-সুষ্ঠ। ছোট বেলা থেকেই খুব মেধাবী ছিল। ঘটনার সময়ে বাবা আবদুল হাকিম বাসার বাইরে ছিল। মা ছিল অন্য একটি রুম। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!