• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

মোহামেডান কি হারিয়ে যাবে?


ক্রীড়া প্রতিবেদক আগস্ট ৯, ২০১৭, ০৫:৩৮ পিএম
মোহামেডান কি হারিয়ে যাবে?

ঢাকা: একসময় বড় বড় দলের সাথে পাল্লা দিয়ে লড়েছে ওয়ান্ডারার্স, দিলকুশা, ইস্ট এন্ড ক্লাব, আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের মতো দলগুলো। জায়ান্ট কিলার সেই ক্লাবগুলো এখন  টিকে আছে সাইনবোর্ডসর্বস্ব হয়ে। প্রিমিয়ার লিগ তো নয়ই, প্রথম বিভাগেও নেই। হয়তো দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিভাগে টিকে আছে কোনো মতে। গত এক দশক ধরে যা পারফরমেন্স তাতে সেই তালিকায় শিগগিরই নাম লেখাতে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

বাংলাদেশ ফুটবলের ইতিহাসে সোনালি হরফে লেখা থাকবে মোহামেডন স্পোর্টিং ক্লাবের নাম। যেরকম ফুটবল তারা দর্শকদের উপহার দিয়েছে তা অবিশ্বাস্য। নব্বইয়ের দশকেও সাব্বির, কায়সার হামিদদের মতো খেলোয়াড়দের নৈপুণ্য ফুটবল অনুরাগীদের কাছে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। কিন্তু সময় এখন পাল্টেছে। সোনালি ঐতিহ্য বর্তমানে ধূসর। এক সময়ের সমিহ জাগানো মোহামেডান ক্লাবের সেই ঝাঁঝ এখন নেই বললেই চলে। ঐতিহ্য গেছে, আছে শুধু হারিয়ে যাওয়া সোনালি দিনের গল্পগুলো। আর এসব ভেবেই হয়তো দীর্ঘশ্বাস ফেলে ক্লাবটির অগনিত ভক্ত সমর্থকরা।

এক সময় সাদাকালো শিবিরের ভাবনাজুড়ে ছিল শিরোপা। তারা মা্ঠেই নামত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য। আর এখন কোনোমতে অবনমন এড়িয়ে চলে মোহামেডান। এমন অবস্থা কোনো মতেই মেনে নিতে পারছেন না সমর্থকেরা। কিন্তু এ ব্যাপারে উদাসীন ক্লাবটির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ।

চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলে সবগুলোতে হেরেছে মোহামেডান। অথচ এবার কোটি টাকায় ভালো দল গড়েছে বলে শোনা গেছে। কিন্ত ভাল দলের ফলাফলই কী এটাই। ক্লাব পরিচালনায় এক ধরণের শৃঙ্খলাহীন। ভারতীয় কোচ সৈয়দ নঈমুদ্দিনকে কোচ হিসেবে এনেও কোনো লাভ হয়নি। তিনি নাকি ‘পারিবারিক’ কাজে দেশে ফিরে গেছেন। তার অবর্তমানে ডাগআউটে দাঁড়ান আমীরুল ইসলাম বাবু। অথচ তিনি দলের ম্যানেজার। মোহামেডানের মতো ক্লাবের ফুটবল দলে নেই কোনো সহকারী কোচ। এ থেকেই বোঝা যায় তারা কতটা উদাসীন?

কোটি টাকা খরচ করে জাহিদ হাসান এমিলি, মিঠুন চৌধুরী, ফয়সাল মাহমুদের মতো খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়েছে মোহামেডান। অথচ গত মৌসুমে এই খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স মোটেও ভাল ছিল না। এ প্রসঙ্গে সাবেক ফুটবলার গোলাম সারোয়ার টিপু মনে বলেন, ‘মোহামেডান বয়স্ক খেলোয়াড়দের নিয়েই ভুল করেছে। দলের ম্যানেজার যখন সব কিছু দেখভাল করেন, তখন সর্বনাশের আর বাকি থাকে কী!’

মোহামেডানের সাবেক অধিনায়ক জুয়েল বলেন, ‘এভাবে কোনো ফুটবল ক্লাব চলতে পারে না। মোহামেডানের মতো ক্লাবের কোনো কোচিং-স্টাফ নেই। ভাবতেও পারি না। সাংগঠনিক দুর্বলতায় জর্জরিত এই ক্লাব আগে মাথা ঠিক করতে হবে।’

সাবেক ফুটবলার, কোচ ও সংগঠকদের কথায় এটা পরিষ্কার যে সবকিছুর মুলে রয়েছে ক্লাব কতৃপক্ষের অদক্ষতা আর উদাসীনতায় মোহামেডানের বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ি। অদৌ ক্লাবটি সঠিক পথে আসবে না হারিয়ে যাবে সেটা সময়ই বলে দেবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!