মুক্তিরাণীর কোলজুড়াল

ঢাকা : উচ্ছ্বাস আর আনন্দে মেতেছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। সবাইকে বিস্মিত করে গত রোববার রাতে এখানে জন্ম নিয়েছে ফুটফুটে হাতিশাবক। নতুন জন্ম নেয়া শাবকটি নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হাতির সংখ্যা এখন সাতটি।

রোববার (২৭ আগস্ট) রাতে হাতির শাবকটির জন্ম হয়। পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্যাভটিবে (আবদ্ধ পরিবেশে) হাতির বাচ্চা প্রসব এটাই বাংলাদেশে প্রথম।

সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার মো. আনিসুর রহমান পূর্বপশ্চিমকে জানান, ২০১৩ সালে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে ছয়টি বন্যহাতি সংগ্রহ করে এ সাফারি পার্কে আনা হয়। এর মধ্যে দুইটি পুরুষ ও চারটি মাদি। পুরুষ হাতি দুটির নাম হলো শেল বাহাদুর এবং আমির বাহাদুর আর মাদি হাতিদের নাম হলো মুক্তিরানী, পূজারানী, কুসুমমালা ও বেলকুড়ি। পার্কে আনার প্রায় চার বছর পর মুক্তিরানী রোববার রাত ১০টা ৫০মিনিটের দিকে একটি বাচ্চার জন্ম দিয়েছে। মা হাতি ও শাবক উভয়ই সুস্থ আছে।

তিনি জানান, হাতি প্রাপ্ত বয়স্ক হয় ১৮-২৫ বছরে। তাদের গর্ভকালীন সময় সাধারণত ১৮ থেকে ২২ মাস। প্রায় ২২ মাসের এসে মুক্তিরানী বাচ্চা প্রসব করেছে। তাবে মুক্তিরানীর বয়স হবে ৪০ বছরের উপরে। জন্ম নেয়ার সময় বচ্চার ওজন সাধারণত ৮০-১০০ কেজির মতো হয়। জন্মের পর বাচ্চা নিয়ে মুক্তরানী পার্কের জঙ্গলে আলাদাস্থানে অবস্থান নিয়েছে। যার কারণে বাচ্চাটির ওজন এবং মাদি না পুরুষ তা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।

প্রসবের দেড় ঘন্টা পরই হাতির শাবকটি দাড়িয়েছে এবং মায়ের সাথে অবস্থান করছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ বাচ্চার ওজন ৮০-১০০ কেজির মধ্যে হবে। এখন মা ও শাবকটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। খেতে দেয়া হচ্ছে কলাগাছ, আখ, চাল এবং দুধ মিশ্রিত করে ঝাউ, কলা, ছোলা জাতীয় খাবার।

তিনি আরো জানান, জন্মেরপর শাবক সাড়ে তিন থেকে চার বছর মায়ের দুধ পান করে। বাচ্চা লালন পালনের জন্য মা হাতি প্রায় পাঁচ বছর গর্ভধারণ করে না। এছাড়া আবদ্ধ পরিবেশে হাতি সাধারণ বাঁচে ৮০ থেকে ১০০ বছর আর ন্যাচারে বাঁচে ৬০ থেকে ৭০ বছর। অর্থাৎ আবদ্ধ পরিবেশে হাতি বেশিদিন বাঁচে।

মুক্তিকে পরিচর্যাকারী মাহুতের ভাষ্য, এর আগেও মুক্তিরানী শাবকের জন্ম দিয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই