• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

চীনের পর সু চি’র পাশে এবার রাশিয়া 


আন্তর্জাতিক ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭, ১০:০৩ এএম
চীনের পর সু চি’র পাশে এবার রাশিয়া 

নির্বিচারে হত্যা করছে সেনাবাহিনী তাই সবাই পালাচ্ছে...

ঢাকা: রোহিঙ্গা সংকটকে নোবেলবিজয়ী (বিতর্কীত) সু চি সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয় দাবি করে দেশটিতে বাইরের হস্তক্ষেপের বিপক্ষে অবস্থান জানিয়েছে রাশিয়া। তারা বলছে, আমরা মনে করছি এটি দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় তাই দেশটির উভয় পক্ষ বসে এর সমাধান করুক।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা এক বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে’ হস্তক্ষেপের উদ্যোগ শুধু ধর্মীয় উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে।

রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, এটা মনে রাখা দরকার যে, একটি সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার ইচ্ছা কেবল আন্তঃধর্মীয় বিরোধ বাড়িয়ে দিতে পারে।

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে দমন-পীড়নের শিকার হয়ে তিন সপ্তাহে চার লাখের মতো মুসলিম রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে; তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ ও ঘর পোড়ানোর কথা জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই নৃশংসতার নিন্দা জানিয়েছে।

মিয়ানমারকে অবিলম্বে সেনা অভিযান স্থগিত ও রোহিঙ্গাদের প্রতি সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা

বুধবার তার ওই আহ্বানের পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে অতিরিক্ত সহিংসতার খবরে উদ্বেগ জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়। নিরাপত্তা পরিষদে যে কোনো প্রস্তাব আটকে দেয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি স্থায়ী সদস্যের মধ্যে মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত চীনের সঙ্গে রাশিয়াও রয়েছে।

রাশিয়ার এই বক্তব্যের আগে রোহিঙ্গা সংকটের জন্য এই মুসলিম জনগোষ্ঠীকেই দায়ী করেছিলেন ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিং চিয়াং।

গত রোববার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে পুলিশের উপর হামলার কারণে সহিংসতা শুরু হয়। এর পর রোহিঙ্গারা সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে থাকে।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলছেন, মিয়ানমারে সংকট সমাধানে ধর্মীয় নেতাদের আলোচনার উদ্যোগ এগিয়ে নেয়ার পক্ষে মস্কো।

এক্ষেত্রে মিয়ানমারের বহু জাতিগোষ্ঠীর মুসলিম কমিউনিটিকে প্রতিনিধিত্বকারী শীর্ষস্থানীয় সংগঠনগুলোর যৌথ বিবৃতিকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি, যারা ওই এলাকায় (রাখাইন) সশস্ত্র কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে।আমরা সরকারের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি এবং ওই ধর্মের অনুসারীদের প্রতি উগ্রপন্থিদের উসকানিতে ঝাপিয়ে না পড়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

জাখারোভ বলেন, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সুপারিশ ‘বাস্তবায়নে’ মিয়ানমারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে মস্কো। এজন্য মিয়ানমারের সমাজকল্যাণমন্ত্রীর নেতৃত্বে কমিটি গঠনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!