• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বামীকে মনের কথাও বলা হয়নি রোহিঙ্গা নববধূর


ফেসবুক-থেকে ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭, ০১:৫৭ পিএম
স্বামীকে মনের কথাও বলা হয়নি রোহিঙ্গা নববধূর

ফাইল ছবি

ঢাকা: গত ২৪ আগস্ট রাখাইনে পুলিশ পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা নিধনের যে অভিযান চালাচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী তার বলি হতে হয়েছে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা মুসলিমকে। অনেকেই হারিয়েছেন বাবা-মা, আবার অনেকেই হারিয়েছেন সদস্য জন্ম নেয়া নারি ছেঁড়া ধনকে। আবার অনেকই হারিয়েছেন সদ্য বিয়ে করা স্বামী বা স্ত্রীকে। তেমনি একজন হলেন- আয়েশা খাতুন। 

উজ্জ্বল শ্যামলা বর্ণের ১৮ কিংবা ১৯ বছরের এক তরুণী। ত্রাণের ছোট্ট ব্যাগ হাতে। নির্বাক দাঁড়িয়ে কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালংয়ের ক্যাম্পের সামনে। বয়স বিধ্বস্ত চেহারা। পায়ে কাদামাটি। পোশাক-আশাক দেখেই বোঝা যায় কতটা নির্যাতনের শিকার।

একটু এগিয়ে গিয়ে কথা বলতেই শুরু হলো কান্না। দু’চোখে বেয়ে জলের ধারা। প্রতি ফোঁটা চোখের পানিতে যেন হাহাকার আর হতাশার চিহ্ন। আশপাশের লোকদের কাছ থেকে জানা গেল মুল কাহিনী। জানালেন- আয়েশার বিয়ে হয়েছে মাত্র ১১দিন। নতুন সংসার।

এরই মধ্যেই এলাকায় শুরু হলো মানুষরূপী মগ-সেনাদের ভয়াবহ তান্ডপ। হারালেন স্বামীকে। তার সামনেই স্বামীর হাত-পা বেঁধে গুলি করে সেনারা। গুলি করেই ক্ষান্ত নয় তারা; গলাও কেটে ফেলে। এরপর তাকে (নববধূ আয়েশাকে) মৃত স্বামীর লাশের পাশেই নিযার্তন করে।

আয়শা একটু স্থীর হতেই জানতে চাইলে খুলে বললেন সেদিনের ঘটনা। সেদিন কয়েকজন আর্মি অস্ত্রসহ এসে জ্বালিয়ে দিলো তাদের ঘর-বাড়ি। এরপর তার স্বামীকে বেঁধে টেনে নিয়ে গেল গাছের নিচে...... (সব ঘটনা)।

আয়েশা বলেন, তারা নতুন পৃথিবীটা সাজাতে চেয়েছিল নিজের মতো করে। তার সেই স্বপ্নের কথা বলতে চেয়েছিলেন স্বামীকে। কিন্তু তা আর হলো না। এলাকা জুড়ে মিয়ানমার আর্মিদের ভয়াবহ তাণ্ডব। এর মধ্যেই হয়ে গেছে বিয়ে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়তো থাকবে না বেশিদিন। তখন সুখে সংসার করা হবে। এমন আশাই দেখছিলেন আয়েশা। কিন্তু সবই দুঃস্বপ্ন। স্বামীকে নিজের মনের কথা বলা আর হলো না। ছোট ছোট স্বপ্ন- ইচ্ছের কথাও জানানো হলো না প্রিয় মানুষটাকে।

বাংলাদেশে এসে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে তাকে। তবুও এখানেই এখন তার জন্য নিরাপদ জায়গা। তবে দেশের অবস্থা ভালো হলে সেখানে ফিরতে চান আয়েশা। (সাংবাদিক সোহরাব মাহাদীর ফেসবুক থেকে)

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই/এসআই

Wordbridge School
Link copied!