রডের বদলে বাঁশ: প্রকৌশলী বরখাস্ত

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০১৬, ১০:৪৪ পিএম

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

গাইবান্ধায় বিদ্যালয়ের টয়লেট নির্মাণে রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের ঘটনায় আটক সেই উপ-সহকারী প্রকৌশলী এএসএম আরিফ বিল্লাহ ডাকুয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে ঢাকার প্রধান প্রকৌশলী ওয়ালী উল্লাহ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত পত্র গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়ে এসে পৌঁছায়।

একই ঘটনায় নলকূপ মেকানিক সাইফুল ইসলামকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এসংক্রান্ত পত্র রংপুর অফিস থেকে গাইবান্ধায় পৌঁছেছে।

এদিকে, যোগসাজশে ঠিকাদারী কাজে অনিয়মের অভিযোগে সোমবার দুপুরে দুনীতি দমন কমিশন (দুদক) (রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়) এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জাকারিয়া বাদী হয়ে প্রকৌশলী এএসএম আরেফ বিল্লাহ ও ঠিকাদার আব্দুল খালেককে আসামি করে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা করেছেন। মামলা নম্বর (২৭)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঠিকাদার আব্দুল খালেক গাইবান্ধার ৮টি বিদ্যালয়ের ওয়াশব্লক (টয়লেট) নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পান। তার সবগুলো কাজের তদন্তের জন্য গঠিত কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে শৌচাগার নির্মাণের চারটি লিনটনের মধ্যে দুটি লিনটনে বাঁশ ও বেঞ্চের অ্যাঙ্গেল ব্যবহারের সত্যতা মিলেছে।

সোমবার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢালাই কাজে বাঁশ ব্যবহারের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলা হয়, ঠিকাদার ও প্রকৌশলীকে ফাঁসাতে বিদ্যালয়ের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধে জড়িত পক্ষ নির্মাণ কাজের মিস্ত্রীর সহায়তায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচার দাবি করে।

প্রসঙ্গত, গাইবান্ধার মেঘডুমুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেট (ওয়াশব্লক) নির্মাণে ঢালাইয়ের কাজে লোহার রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের ঘটনাটি গত ৮ এপ্রিল রাতে স্থানীয়রা ধরে ফেলে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় দুদক গত ১৩ এপ্রিল উপ-সহকারি প্রকৌশলী এএসএম আরেফ বিল্লাহ ডাকুয়া এবং ঠিকাদার আব্দুল খালেককে আটক করে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন