স্বামী-স্ত্রীর সহযোগিতায় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ

  • শেরপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০১৯, ০৯:১৯ এএম

শেরপুর: শেরপুরে চতুর্থ শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে প্রধান আসামি পলাশ পোদ্দার (৩৫) এখনো পলাতক রয়েছে।

এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটির মা বাদী হয়ে সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় মামলা করেছেন।

গ্রেফতার দম্পতি হলেন সোহানুর রহমান (৩০) ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমি আক্তার (২৮)। মৌসুমিকে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রীটি মায়ের সঙ্গে একটি বাসায় ভাড়া থাকত। গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার মা কাজে যান। এ সময় সোহানুর ও মৌসুমির সহযোগিতায় পলাশ পোদ্দার নামের এক ব্যক্তি বাসায় ঢোকেন। এরপর ওই ছাত্রীকে চাকু দিয়ে ভয় দেখিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন পলাশ। ঘটনার পর পালিয়ে যান তিনি।

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে মেয়েটি তার মাকে সব ঘটনা খুলে বলে। পরে এলাকাবাসী মৌসুমিকে থানায় সোপর্দ করে।  মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সোহানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনসার আলী জানান, এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গ্রেপ্তার দম্পতিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ মূল আসামি পলাশকে পোদ্দার কে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।

সোনালীনিউজ/এএস