জ্বরে মাদ্রাসাছাত্রীর মৃত্যু আতঙ্কে ধারে কাছে গেলেন না গ্রামবাসী

  • পটুয়াখালী প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২০, ০৮:৫৯ পিএম

পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ডিএস আলিম মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাবেয়া (১২) মৃত্যুর পর লাশ দাফনের জন্য ধারে কাছে গেলেন না গ্রামবাসী। পরে পরিবারের সদস্যরা নিজেরাই লাশ গোসল দিয়ে দাফন করলেন।  

সোমবার (৬ এপ্রিল) সকালে বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের পশ্চিম বটকাজল গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই গ্রামের প্রতিবন্ধী ফোরকান বাগার মেয়ে আদাবাড়িয়া ডিএস আলিম মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাবেয়া কয়েকদিন আগে জ্বর ও চর্মরোগে (খুঁজলি-পাঁচড়া) আক্রান্ত হয়। এরপর স্থাণীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পর রাবেয়াকে ওষুধ দেয়া হয়। রোববার বিকালে রাবেয়ার অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফের তাকে ওই চিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়। তখন ওই পল্লী চিকিৎসক রাবেয়ার শরীরে একটি ইনজেকশন পুশ করেন। বাড়িতে নিয়ে আসার পর রাবেয়ার শরীর ফুঁলে ফেঁপে ওঠে। সোমবার সকালে সে মারা যায়। 

এ খবর দ্রæত ছড়িয়ে পড়লে গ্রামে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সবার মুখে করোনা ভাইরাসে রাবেয়া মারা যাওয়ার খবর রটে যায়। পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতেও ভয়ে রাবেয়ার বাড়িতে গ্রামবাসীরা কেউ যায়নি। এমনকি জানাযার নামাজ কিংবা মরদেহ গোসলের  জন্য কাউকে পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরাই রাবেয়াকে গোসল করিয়ে দাফন করেন। 

নওমালা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জাহাঙ্গীর আকন বলেন, কয়েকদিন থেকেই রাবেয়া জ্বর ও চর্মরোগে ভুগছিল। সোমবার সকালে রাবেয়া মারা যায়। এরপর গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে রাবেয়া করোনা ভাইরাসের কারনে মারা গেছে। ফলে ভয়ে কেউ রাবেয়ার বাড়িতে যায়নি। জানাযার নামাজ এবং দাফন কাফনেও কেউ অংশ নেয়নি। 

এ বিষয়ে জানার জন্য নওমালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহজাদা হাওলাদারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

এ প্রসঙ্গে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, বিষয়টি আপনার কাছে শুনে যা মনে হয় রাবেয়া করোনা আক্রান্ত নয়। চর্মরোগের যথাযথ চিকিৎসাসেবা না পেয়ে তার মৃত্যু হতে পারে। তবে খোঁজ খবর নিয়ে আমরা বিষয়টি দেখব। 

সোনালীনিউজ/এএস