আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা

শরীয়তপুরে সরকারিভাবে গম ক্রয় বন্ধ

  • শরীয়তপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৯, ২০১৬, ০৭:২০ পিএম

১০ এপ্রিল থেকে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সরকারিভাবে গম কেনার ঘোষনা দিয়েছে সরকার। সরকারের এ ঘোষনার এক মাস পরেও গম ক্রয় শুরু করতে পারেনি শরীয়তপুর খাদ্য বিভাগ।

শরীয়তপুরে গম চাষিরা তাদের আবাদকৃত গম ঘরে তুলেছেন গত ফেব্রুয়ারিতে। ফলে টাকার অভাবে বাধ্য হয়ে কৃষকরা আগেই বাজারে কম দামে বিক্রি করছে গম।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে শরীয়তপুরে ৪হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ করা হয়। কৃষি বিভাগ জেলায় ১৪ হাজার ২৫৫ মেট্রিক টন গম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে। গত ১০ এপ্রিল সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে গম কেনার ঘোষণা দেয় সরকার। প্রতি কেজি গম ২৮ টাকা করে কেনা কথা। ৩১ মে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এ কাজ শেষ করার কথা খাদ্য বিভাগের। কিন্তু শরীয়তপুরে গম কেনা শুরু হয়নি আজও।

সদর উপজেলার হুগলী গ্রামের কৃষক কুদ্দুস বেপারী বলেন, আমরা সব সময় অর্ধকষ্টে থাকি। এক ফসল বিক্রি করে আরেক ফসল ফলাই। সরকারিভাবে গম বিক্রি করার জন্য অনেক দিন অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু সরকারিভাবে গম না কেনায় বাধ্য হয়ে কম দামে বাজারে বিক্রি করেছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কবির হোসেন বলেন, সরকারিভাবে কৃষকের কাছ থেকে এখনো গম না কেনায় তাঁরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিষয়টি আমরা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। গম ক্রয় শুরু করার তাগিদ দেওয়ার জন্য বিষয়টি জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হয়েছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ শামসুজ্জামান বলেন, গম ক্রয়ে এ বছর নতুন নীতিমালা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী কৃষকের কাছ থেকে গম কিনে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে দাম পরিশোধ করতে হবে। কৃষক এখনো ব্যাংক হিসাব খুলতে পারিনি। তাই গম কিনতে দেরি হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন