অতিরিক্ত ফি না দেওয়ায় পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত ৩০ শিক্ষার্থী

  • মেহেরপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২১, ১১:১২ এএম
সোলায়মানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়

মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাওট সোলায়মানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুর্নীতিবাজ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছ্। মাসিক বেতন, পরীক্ষা  ফিসসহ নানা উন্নয়ন ফিসের তালিকা করে ১২ থেকে ১৫ শ’টাকা  ফিস ধরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মডেল টেষ্ট পরীক্ষা গ্রহন করছেন। অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ না করায় বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকালে কমপক্ষে ২৫ /৩০ জন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়নি। তাদের পরীক্ষা কক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ১৮ মাস যাবত করোনা পরিস্থিতির কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সরকারী সিদ্ধান্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। বিদ্যালয়ে লেখা পড়া না হলেও অসাধু শিক্ষকবৃন্দ বকেয়া বেতন, পরীক্ষা ফিস, স্কাউট ফিস, ভর্তি ফিস, উন্নয়ন ফিস বাবদ সাড়ে ১১ শ’ টাকা দিতে নোটিশ দিয়েছে। এদিকে এছাড়াও নানা ফিস ধরে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে অর্থ বাণিজ্য  করছেন।  শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত টাকা মওকুফ করে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফিস নিয়ে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়ার আবেদন করলেও  শিক্ষকবৃন্দ তা অমান্য করে পরীক্ষা দিতে দেয়নি। 

অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গেলে পরীক্ষা বঞ্চিত ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী  আলী আকবর পলাশ (শারীরিক প্রতিবন্ধী), রায়হান, তুহিন, সালাউদ্দীন, সুমন, আব্দুল হালিম, সাইফ আহম্মেদ, সাব্বির আলী, আলমগীর, জজ মিয়া, সজল, তারিক, রকিব, রানা ও সোহাগ জানায়, আমরা অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ফিসের অতিরিক্ষ টাকা দিতে না পারায় আমাদের মডেল টেষ্ট পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়নি।  আমাদের শিক্ষা জীবন নষ্ট করা হয়েছে। ১২ শ’ টাকা থেকে ১৫ শ’ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। আমরা ৫শ’ টাকা করে দিতে চাইলেও আমাদের পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়নি। ক্লাসে ৮১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৫/৩০ জন কে পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়নি। আমরা এই দুর্নীতির বিচার চেয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। 

এব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিয়ামত আলী মেম্বার ও প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন এর সাথে আলাপ কালে জানান, আমরা মাসিক বেতন  ৪শ’টাকা, পরীক্ষা ফিস ২৫০ টাকা, স্কাউট ফিস ১ শ’টাকা, ভর্তি ফিস ৩ শ’ টাকা, ও উন্নয়ন ফিস ১ শ’টাকা  সব মিলিয়ে সাড়ে ১১ শ’টাকা গ্রহন করছি।  পার্শ্ববর্তী অন্যান্য বিদ্যালয়ের চেয়ে আমরা কম নিচ্ছি। অনেক শিক্ষার্থী আমাদের ৪ শ’ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৯ শ’ টাকা ফিস দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। আমরা কাউকে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় নাই। এই বিদ্যালয়ে সকল ছাত্র আমাদের সন্তান সমতূল্য। পরীক্ষা না দেয়ায় তাদের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তাদের শিক্ষা জীবন নষ্ট হোক আমরা চাইনা। ঐ সকল পরীক্ষার্থীরা আমাদের কাছে না এসে নানা শ্লোগান দিয়ে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করেছে।  

সোনালীনিউজ/এএ/এসআই