রাজবাড়ীতে পদ্মার ভাঙনে হুমকিতে বসতবাড়ী আবাদী জমি

  • রাজবাড়ী প্রতিনিধি  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০১৬, ০৫:১৬ পিএম

রাজবাড়ীতে পদ্মা ও গড়াই নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। পদ্মা ও গড়াইয়ের তীব্র ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে স্কুলভবণ, তিন শতাধিক বসতবাড়ী ও আবাদী জমি। এদিকে জেলার চারটি উপজেলার ১৩টি স্পটে দীর্ঘ চার কিলোমিটার এলাকায় নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে এসে রয়েছে জেলা সদরের বরাট ইউনিয়নের লালগোলা এলাকা। সেখানে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ থেকে পদ্মা নদীর দূরত্ব রয়েছে মাত্র দুই শত মিটার। আর জরূরী ভিত্তিতে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নদী তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ করেও রক্ষা করা সম্ভব হয়নি জেলা সদরের উড়াকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর, সেনগ্রাম বকশীপুর, জেলা সদরের মহাদেবপুর, লালগোলা, উড়াকান্দা, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় পদ্মার এবং জেলা বালিয়াকান্দিতে নারুয়া ও জঙ্গল ইউনিয়নে গড়াই নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। 

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড দেড় মাস পূর্বে নদী ভাঙনরোধে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে জেলা সদরের মিজানপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে জেলা সদরের বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পদ্মা নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পের জরুরী কাজ শুরু করে। মহাদেবপুর পয়েন্ট বাঁশের পাইলিং করাসহ ফেলা হয় বালু ভর্তি ৪ হাজার ৬ শতটি প্লাষ্টিকের বস্তা। আর উড়াকান্দা পয়েন্ট ২৫০ কেজির জিও ব্যাগ ভর্তি ৩ হাজার ৬ শত বস্তা ফেলার লক্ষমাত্র নির্ধারণ করা করা হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ধীরগতির কাজের ফলে ভাঙনরোধে বস্তা ফেলা হলেও যথা সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধি এবং তীব্র স্রোতের কারণে সেখানে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন।
 
স্থানীয়রা জানায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিযুক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যথা সময়ে কাজ শেষ করতে পারলে হয়ত ভাঙনরোধ সম্ভব হতো। যে কারণে এ বিদ্যালয়ের টিনসেড ভবনটি ভেঙ্গে সড়িয়ে নেয়ার কাজ শুরু করতে হয়েছে। একই সাথে বিদ্যালয় দোতলা ভবনটিসহ এলাকার ৩ শতাধিক বাড়ী এবং আবাদী জমি হুমকিতে রয়েছে। ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে যে ভাঙ্গন প্রতিরোধ কাজ করছে তা জলে গিয়েছে। কোন উপকারেই আসলো না বিদ্যালয় এবং এলাকাবাসীর। 

এদিকে ওই সব এলাকার ১৩ টি পয়েন্টের চার কিলোমিটার এলাকায় এ ভাঙনরোধে জরুরী ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রধান কার্যালয়ে আবেদন করা হয়েছে। 

জানা গেছে, জেলা সদরের উড়াকান্দায় পদ্মার ভাঙনরোধে ১ কোটি ১৬ লাখ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহন করা হলেও তা এখনও অনুমোদনরে অপক্ষোয় রয়েছে। তবে জরুরী ভাঙনরোধে মৌখিক ভাবে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়ায় ভাঙনরোধে এ কাজ করা হয়। তবে ওই কাজ করার পরও ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হয়নি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম