গর্ভবতীর পেটে লাথি, পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

  • টঙ্গী প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৬, ১১:৫০ এএম

গাজীপুরের টঙ্গীতে গর্ভবতী এক গৃহবধূর পেটে লাথি মারার অভিযোগে টঙ্গী মডেল থানার এএসআই বিপ্লবকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। জহুরা বেগম নামে ওই গৃহবধূ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মঙ্গলবার রাতে ওই নারীর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে জনতা। পরে এএসআই বিপ্লবকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।

বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত সোমবার রাত ৩টার দিকে টঙ্গী থানার এএসআই বিপ্লব টঙ্গীর কো-অপারেটিভ ব্যাংক মাঠ বস্তির বাসিন্দা রানার স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী জহুরার বাসায় হানা দেন। এসময় তিনি জহুরাকে মাদক ও দেহ ব্যবসায়ী উল্লেখ করে তার কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই সময় জহুরা পুলিশের ভয়ে পাঁচ হাজার টাকা তার হাতে তুলে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিপ্লব চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা জহুরার পেটে উপর্যুপরি লাথি মারেন এবং মারধর করে গুরুতর আহত করেন। এসময় তার স্বামী তাকে বাঁচাতে গেলে এএসআই বিপ্লব তাকেও মারধর করেন। পরে জহুরার প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হলে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পুলিশের নির্যাতনে জহুরার বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পারভেজ জানান, জহুরার তলপেটে আঘাত লাগার কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়, যে কারণে তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

টঙ্গী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ তালুকদার জানান, মারা যাওয়ার খবরটি সম্পূর্ণ গুজব। আহত জহুরাকে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য আবেদা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তাকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছেন চিকিৎসকরা।

এ ব্যাপারে টঙ্গী মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. সোনাহর আলী শরিফ জানান, অভিযুক্ত এএসআই বিপ্লবের বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় তাকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ