ভূঞাপুরে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কেন্দ্র সচিব ও পরীক্ষার্থীসহ আটক ৬

  • টাঙ্গাইল প্রতিনিধি   | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম

টাঙ্গাইল: ভূঞাপুরে এসএসসি (দাখিল) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে কেন্দ্র সচিব, পরীক্ষার্থী, ফটোকপি দোকানদারসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। 

এই ঘটনায় কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ম্যনেজার মনিরুজ্জামানকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ভূঞাপুর ফাজিল মাদরাসায় পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, ভূঞাপুর ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মো. আব্দুস ছোবাহান, পশ্চিম ভূঞাপুর গ্রামের মোজাফর আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৩০), একই গ্রামের শওকত আলীর ছেলে লুৎফর রহমান (৩৮), টেপিবাড়ী গ্রামের ইকবাল তালুকদারের ছেলে সুমন (২৫), ছাব্বিশা গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে মিজানুর (৩৫), আমুলা গ্রামের ইদ্রিস হোসেনের ছেলে শাহ আলম (২৭), পূর্ব ভূঞাপুরের হায়দার আলীর ছেলে রায়হান আলী (৩৫) ও এক পরীক্ষার্থী।

জানা যায়, ভূঞাপুর ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্র এসএসসি (দাখিলের) গণিত বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় আজ। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ওই কেন্দ্রের তৃতীয় তলায় এক ছাত্রী প্রশ্নপত্র নিচে ফেলে দেয়। পরে সেটি ওই পরীক্ষার্থীর ভাই সংগ্রহ করে ফটোকপির দোকানে যায়। 

[247777]

পরে ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাতেনাতে ধরে ফেলে। এছাড়া ওই কেন্দ্রের সচিব আব্দুস সোবহানও বাইরে দোকানে অবস্থান করে। এছাড়া পরীক্ষার বাড়তি প্রশ্নপত্রের মধ্যে দুইটি প্রশ্ন হদিস পাওয়া যায়নি।

অভিযোগ রয়েছে, ভূঞাপুর ফাজিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্র সংলগ্ন ফটোকপির দোকান ও ওই মাদরাসার শিক্ষক বিদ্যুতের বিকাশ দোকানে প্রশ্নপত্র ও প্রতিদিনের পরীক্ষার গাইড বই রাখা হয়। পরে বের হওয়া প্রশ্ন দেখে উত্তর লিখে সেটা কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের কাছে পাঠানো হয়।

এই ঘটনায় কক্ষ পরিদর্শক ও কোনাবাড়ী দাখিল মাদরাসার শিক্ষক আব্দুল হাই, নিকলা দড়িপাড়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মোতালেব হোসেন এবং জিগাতলা দাখিল মাদরাসার শিক্ষক জহুরুল ইসলামকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়।

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, কেন্দ্র সচিব ও পরীক্ষার্থীসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. পপি খাতুন বলেন, কেন্দ্রের পাশের ফটোকপির দোকানে প্রশ্নপত্র নেয়া হয়েছিল। এছাড়া কেন্দ্র সচিবের কাছে থাকা প্রশ্ন থেকে দুইটি প্রশ্ন কম পাওয়া গেছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

এআর