বিজিবির কাছে ১১ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ

  • চুয়াডাঙ্গা প্র‌তি‌নি‌ধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ০৬:২৩ পিএম

চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতে আটক ১১ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে সীমান্তের ৬১/৭ এস পিলারের সন্নিকটে অনুষ্ঠিত এ পতাকা বৈঠকে ভারতের নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ বেনীপুর বিওপির কোম্পানী কমান্ডারের হাতে তাদেরকে তুলে দেন।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিজিবি তাদেরকে জীবননগর থানায় সোপর্দ করেছে।

আটককৃতরা হলেন- মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান উপজেলার বড়শিকারপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ মন্ডলের ছেলে মিঠুন মন্ডল (৪৪), স্ত্রী কবিতা মন্ডল (৩৮), তিন মেয়ে অনিকা মন্ডল (১৭), অন্তরা মন্ডল (১২) ও মিষ্টি মন্ডল (৯), মাগুড়া জেলার শালিখা উপজেলার ছাবড়ী গ্রামের পরিমল বিশ্বাসের ছেলে প্রবীন বিশ্বাস (৩৯), স্ত্রী অপর্না বিশ্বাস (৩৬) ও মেয়ে প্রিয়সী বিশ্বাস (১০), ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের সিরাজ হাজারী বাড়ি এলাকার নুর ইসলামের মেয়ে সোহাগী আক্তার (৪০), ঢাকার কোতয়ালী থানার আহসানুল্লাহ রোডের বাসিন্দা আল আমিনের স্ত্রী মীম (১৯) ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার জাহানাবাদ গ্রামের আব্দুল মাজেদের মেয়ে তাসলিমা (৪১)।
 
মহেশপুর-৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মুন্সী ইমদাদুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ১১জন বাংলাদেশি অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ১৯৪ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ তাদের আটক করে। আটকৃতরা বিএসএফকে জানায় তারা অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশ করেছে এবং মুম্বাই শহরের বাসা-বাড়িতে গৃহকর্মীসহ দিন মজুরের কাজ করতো। দেশে ফেরার পথে তারা বিএসএফের হাতে আটক হয়।

আটককৃতদের নাম-ঠিকানা ভারতের নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ বেনীপুর বিওপিকে অবগত করে আটককৃত বাংলাদেশিদের ফেরত নেয়ার নেওয়ার জন্য। বুধবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে সীমান্তের ৬১/৭ নং এস পিলারের সন্নিকটে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ পতাকা বৈঠকের পর বিএসএফ আটক ১১জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে বেনীপুর কোম্পানী কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. ওবায়দুল্লাহর হাতে তুলে দেয়।

জীবননগর থানার ওসি মামুন হোসেন বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, বিজিবি ১১জন বাংলাদেশিকে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।

পিএস