বাগেরহাট: মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে বঙ্গোপসাগরের গভীর নীচচাপ ও প্রবল ঝড়ো বাতাসে জেলেরা দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন। বুধবার বিকেল থেকেই গভীর সাগরে ইলিশ আহরণের জন্য বের হওয়া বড় ফিশিং ট্রলারগুলো কূলে ফিরে আসে। শরণখোলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে রাতেই শতাধিক ট্রলার নিরাপদে অবতরণ করেছে।
জেলেরা জানিয়েছেন, শেষ ট্রিপে প্রচুর ইলিশ ধরার আশা নিয়ে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে ট্রলারগুলোর অধিকাংশে ইলিশ ধরতে পারেননি, ফলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কিছু সাদা জালের ছোট ট্রলারে ইলিশ ধরা পড়েছে, যেখানে খরচ কম হওয়ায় লাভবান হবেন ট্রলার মালিকরা।
শরণখোলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়ৎদার মো. কবির হাওলাদার ও ইমাদুল ফরাজী জানিয়েছেন, বড় লাল জালের ট্রলারগুলোতে খরচ বেশি, প্রতি ট্রিপে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। এ ট্রলারগুলোই প্রায় শূন্য হাতে ঘাটে ফিরে এসেছে। শরণখোলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, “এবার ইলিশ ধরা পড়েনি, তাই আমাদের শেষ ট্রিপেও লোকসান মিটাতে পারিনি।”
শরণখোলা উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন সরকার জানিয়েছেন, মা ইলিশ রক্ষায় ৪ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে দুই বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড প্রদান করা হতে পারে। শরণখোলা উপজেলার ৬৮০০ নিবন্ধিত জেলের মধ্যে ৪৫০০ ইলিশ আহরণকারী। নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ থাকবে।
এসএইচ