লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে গৃহবধু জুলেখা (৫৫) ও তার মেয়ে কলেজছাত্রী তানহা আক্তার মীমকে (১৯ গলা কেটে হত্যার ঘটনায় সোহেল রানা (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এর আগে থানায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহত জুলেখার স্বামী মিজানুর রহমান।
এদিকে বিকেলে নিহতদের জানাযায় অংশ নিয়ে ৭২ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে থানা ঘেরাওয়ের হুশিয়ারিও দেন তিনি।
আটক সোহেল চন্ডিপুর ইউনিয়নের উত্তর চন্ডিপুর গ্রামের খামার বাড়ির মোজাম্মেল হোসেন বাহারের ছেলে। সে নিহতদের আত্মীয়।
পুলিশ ও ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন জানায়, বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর রামগঞ্জের উত্তর চন্ডিপুর গ্রামে বাসায় ঢুকে জুলেখা ও তার মেয়ে মীম গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় ঘাতকরা। বাসায় তারা একা ছিল। রাতে নিহতদের পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বাসায় গেলে জুলেখা ও মীমের গলাকাটা মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। শুক্রবার দুপুরে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে নিহতদের মরদেহ দাফন করা হয়। পরে রাতেই নিহত জুলেখার স্বামী মিজানুর বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারী বলেন, নিহত জুলেখার স্বামী মিজানুর রহমান বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সোহেল নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
এম