দিনাজপুর হিলি অঞ্চলের কৃষকরা আগাম জাতের আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মৌসুম শুরু হতেই জমি প্রস্তুত, সার প্রয়োগ ও বীজ রোপণের কাজ শুরু করেছেন তারা। ধান কাটার পর ফাঁকা জমিতে এই চাষ করছেন কৃষকরা, বিশেষ করে আগাম জাতের অ্যাস্টেরিক ও কার্ডিনাল আলু বেশি লাভজনক হওয়ায়।
কৃষকরা বলছেন, প্রতি বিঘা জমিতে আলু উৎপাদন হয় ৪০ থেকে ৫০ মণ পর্যন্ত। তবে সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের খরচ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন ব্যয়ও অনেক বেশি। এ অবস্থায় বাজারে দাম কম থাকায় লাভের বদলে লোকসান হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, “আলু চাষে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আগাম আলুর ফলন ও দাম দুটোই ভালো হবে।” চলতি বছরে হাকিমপুর উপজেলায় ১,৩৭০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষ সম্পন্ন হয়েছে।
সোহাগ নামের এক কৃষক জানান, “প্রতি বিঘা জমিতে আলু রোপণ থেকে উত্তোলন পর্যন্ত খরচ পড়ছে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। তবু ভালো দাম পেলে মুনাফা করতে পারব।” শ্রমিকরা বলছেন, আগাম আলু চাষে কাজ করে ভালো আয় হচ্ছে, যা দিয়ে পরিবার সংসার চালানো যাচ্ছে।
কৃষকেরা আশা করছেন, যদি ভারতসহ বিদেশে আলু রপ্তানি করা যায়, তবে দাম আরও ভালো হবে এবং সারা বছরের লাভ নিশ্চিত হবে।
এসএইচ