রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বলেছেন, গ্রাম আদালত সঠিকভাবে পরিচালিত হলে ভুক্তভোগীদের উচ্চ আদালতে যেতে হবে না, এতে মামলার চাপও অনেকটা কমে যাবে। ছোটখাটো বিরোধ বা দেওয়ানি মামলা নিয়ে মানুষকে উচ্চ আদালতের দ্বারে যেতে হয়—যা তাদের জন্য বড় ভোগান্তি। তাই জনগণের দোরগোড়ায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গ্রাম আদালতকে কার্যকরভাবে সক্রিয় করার আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় জেলা পরিষদ সভাকক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অংশগ্রহণে দুই দিনব্যাপী ‘গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা’র উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার। তিনি বলেন, গ্রাম আদালতের বিচারক হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের দায়িত্বশীল হতে হবে। বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো পক্ষপাতিত্ব বা স্বজনপ্রীতি নয়—বরং আইন অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে বিচার সম্পন্ন করা জরুরি।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক মো. জাকিউল ইসলাম। তিনি বলেন, গ্রাম আদালত হচ্ছে ন্যায়বিচারের প্রথম ধাপ। এখানে সঠিকভাবে বিচার হলে সাধারণ মানুষ দ্রুত ও কম খরচে ন্যায়বিচার পাবে। এজন্য চেয়ারম্যানদের আইন জানা ও তা মেনে কাজ করা অত্যন্ত জরুরি। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বাড়লে গ্রাম আদালতের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রাম আদালত প্রকল্পের সমন্বয়কারী মারুফ আহমেদ। সঞ্চালনা করেন জেলা ব্যবস্থাপক মো. লুৎফর রহমান। কর্মশালা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে কুলসুম সম্পা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা আকতার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক শবনম শিরিন এবং জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম।
হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, গ্রাম আদালত গ্রামীণ জনগণের ন্যায়বিচারের সহজতম আশ্রয়স্থল। চেয়ারম্যানদের উচিত জনগণের আস্থা রক্ষায় পক্ষপাতহীন ও ন্যায়সঙ্গতভাবে বিচার করা।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়িত ‘বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্প’-এর আওতায় এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রকল্পটি মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)।
এসএইচ