বগুড়ার শিবগঞ্জে শহীদ মীর মুগ্ধ স্কয়ার চত্বরে আয়োজিত ছাত্র–জনতার সমাবেশে যোগ দিয়ে মীর মুগ্ধর জমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেছেন, মীর মুগ্ধ যখন শহীদ হন, তখন তার লাশ দাফন করতে আওয়ামী লীগ কোনো কবরস্থানে জায়গা দেয়নি। আমরা বাধ্য হয়ে এমন এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে তার দাফন সম্পন্ন করেছি, যেখানে পুলিশের নজর পড়বে না।
রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, খুনি হাসিনার মন্ত্রিসহ বহু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আমাদের বাসায় ব্ল্যাঙ্ক চেক নিয়ে এসেছিল। আমরা বাসায় থাকতে না পেরে আত্মগোপনে যাই এবং ৫ আগস্ট মুক্ত হই। আমি বিশ্ববাসীকে দেখানোর চেষ্টা করেছি, কীভাবে খুনি হাসিনা আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, খুনি হাসিনার সঙ্গে কোনো আপোষ নয়।
সম্প্রতি বিএনপিতে যোগ দেওয়া মীর স্নিগ্ধ বলেন, হাসিনা শুধু ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানেই নয়, সরকার গঠন করেও নানাভাবে বিএনপির ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। গুম, খুন ও ভয় দেখিয়ে অসংখ্য নেতাকর্মীকে আত্মগোপনে যেতে বাধ্য করেছে।
তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের যে ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন, তার বাস্তবায়নের মাধ্যমে খুনি হাসিনার তৈরি করা সরকারব্যবস্থাকে চিরতরে কবর দেওয়া হবে।
সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, শহীদ মীর মুগ্ধদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। তাদের ত্যাগের পথ ধরেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও ন্যায়ের নতুন সূচনা ঘটবে। সমাবেশস্থল ছিল কালো পতাকা, ব্যানার আর ‘মীর মুগ্ধ বেঁচে আছেন’ স্লোগানে মুখরিত।
এসএইচ