ইন্দুরকানী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানির প্লান্ট বন্ধ, রোগী ও স্থানীয়দের ভোগান্তি

  • পিরোজপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
ছবি: প্রতিনিধি

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পানিশোধনাগার বন্ধ হওয়ায় রোগী ও স্থানীয়রা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তথ্য জানতে চাইলে হাসপাতালের ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের সঙ্গে জাতীয় দৈনিকের এক সাংবাদিকের অশোভন আচরণের অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানি শোধনাগারের তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করলে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ননী গোপাল সংশ্লিষ্ট ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মিঠুনকে তার কক্ষে ডেকে সাংবাদিককে তথ্য দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু মিঠুন কর্মকর্তার উপস্থিতিতেও সাংবাদিককে বলেন, “পরে দেব,” এবং আরও অনুরোধে তিনি জানান, “আপনার ইচ্ছামতো দিতে পারব না, এখন কিছুই দেব না।”

প্লান্টটি গত ২৫ আগস্ট থেকে বন্ধ রয়েছে। ২০২২ সালে জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রায় ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি স্থাপন করেছিল। হাসপাতাল ও আশপাশের মানুষের জন্য এটি বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রোগীরা প্রতি লিটার পানি এক টাকায় পেতেন।

প্লান্ট বন্ধ থাকায় রোগীরা পানি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। কিছু রোগী বলেন, ‘এত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি তিন মাস ধরে বন্ধ হয়ে পড়েছে, এটি কর্তৃপক্ষের অবহেলার ফল।’

পানিশোধনাগারের অপারেটর সুরঞ্জিত জানান, আড়াই লক্ষ লিটার পানি শোধন করা হয়েছে, ফান্ডে এক লক্ষ টাকা আছে, কিন্তু মেমব্রেনের দাম ৯৬ হাজার টাকা। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সিস্টেমলেস,” এবং আর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালের কিছু কর্মচারী চান না প্লান্ট পুরোপুরি চালু থাকুক, কারণ এর ফলে কাজের চাপ বেড়ে যাবে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মতিউর রহমান জানান, তিনি বিস্তারিত জানেন না, তবে টিএইচও থেকে তথ্য পাবেন। জেলা উপ-সহকারী স্বাস্থ্য প্রকৌশলী মঈনুল ইসলাম বলেন, প্লান্টের মেমব্রেন তাদের রেটলিস্টে নেই, তবে ফান্ড থেকে কেনা সম্ভব ছিল।

স্থানীয়দের অভিযোগ, একই কর্মচারী বহু বছর ধরে বদলি ছাড়াই দায়িত্ব পালন করছেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে অশোভন আচরণ করছেন।

এসএইচ