পরীক্ষা বর্জন করায় আন্দোলনকারী ৭ শিক্ষককে শোকজ

  • লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
ছবি: প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সরকারি কর্মচারীর আচরণবিধি লঙ্ঘন ও শাস্তিযোগ্য অপরাধের অভিযোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা ফেরদৌসীর স্বাক্ষরিত পৃথক সাতটি চিঠির মাধ্যমে শোকজের বিষয়টি জানানো হয়। শোকজপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন নাগমুদ বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল বাশার, প্রিয়াংকা রাণী ভৌমিক, ফেরদৌসি বেগম এবং জয়পুরা এসআরএমএস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন, সহকারী শিক্ষক নুরুন নাহার, মেহেদী হাসান ফরিদ ও মর্জিনা আক্তার।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, শিক্ষক আবুল বাশার তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া প্রেস ব্রিফিং করেছেন। এটি সরকারি কর্মচারীর আচরণবিধির পরিপন্থী। অন্যদিকে জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পরিদর্শনকালে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে বাকি ছয় শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরীক্ষা বর্জনের কারণে শিক্ষার্থীদের শেখার প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে।

শিক্ষক আবুল বাশারকে দেওয়া নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে তিনি পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন এবং অনুমতি ছাড়া সংবাদ ব্রিফ করেছেন, যা আচরণবিধি ১৯৭৯ এর বিধি ২২ এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা ফেরদৌসী বলেন, শোকজপ্রাপ্ত শিক্ষকরা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন এবং সরকারি নির্দেশনা অমান্য করেছেন। কেন তাদের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে না-তার গ্রহণযোগ্য জবাব তিন কর্মদিবসের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।

এসএইচ