বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান তালুকদারের জানাজায় হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলায় দুটি জানাজায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, দলীয় নেতা-কর্মী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সর্বস্তরের জনগণ শেষবারের মতো তাকে দেখতে হাজির ছিলেন।
বরগুনা-৩ আসন (আমতলী-তালতলী) এর সাবেক সংসদ সদস্য ও বরগুনা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান তালুকদার (৮০) গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তার সন্তানরা আমেরিকায় বসবাস করায় তাদের আসার পরই দাফন কার্যক্রম শুরু হয়।
মরহুমের প্রথম জানাজা নামাজ গতকাল বুধবার বেলা ২টায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ২০ নভেম্বর সকাল ৯টায় হেলিকপ্টারে তাকে তালতলী উপজেলায় আনা হয়। সেখানে সকাল ১০টায় তালতলী সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আমতলী কেন্দ্রীয় ঈদগাহে তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়।
দাফনের জন্য মরহুমকে তার জন্মস্থান আমতলীর আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের আফতাব কমপ্লেক্সে নেওয়া হবে। পারিবারিক কবরস্থানে দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে নিশ্চিত করেছেন তার কনিষ্ঠ সন্তান আশিকুর রহমান তালুকদার।
মরহুম আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান তালুকদার ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে প্রথমবার বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এক বছর পর বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।
২০০১ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র ৪ হাজার ভোটে হেরে যান। পরে শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসন ছেড়ে দিলে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন এবং বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে উপ-নির্বাচনে জয়লাভ করে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৯১, ১৯৯৭ ও ২০০১ সালে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকে এবং ২০০৮ ও ২০১৮ সালে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসনের বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
মরহুম বিএনপির প্রাথমিকভাবে ঘোষিত মনোনয়ন তালিকায় ছিলেন না। মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার জন্য তিনি ৪ নভেম্বর ঢাকার উদ্দেশে আমতলী ছেড়েছিলেন।
মরহুম মতিয়ার রহমান তালুকদারের মৃত্যুতে বরগুনা জেলায় শোকের ছায়া নেমেছে। দলের নেতা-কর্মী ও সর্বস্তরের জনগণ তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তার অবদান বহুদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এসএইচ