হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত অন্তত ২২

  • নোয়াখালী প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৫, ০৯:০৯ পিএম
ছবি: প্রতিনিধি

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ওছখালী জিরো পয়েন্ট এলাকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নোয়াখালী–৬ (হাতিয়া) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাহবুবের রহমান শামীম এবং হাতিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

আজিম অনুসারী হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ইফতেখার হোসেন জানান, স্থানীয় ওছখালী বাজারে দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে ফজলুল আজিমের অনুসারীরা মশাল মিছিলের কর্মসূচি দেয়। সন্ধ্যা নাগাদ তমরদ্দি এলাকা থেকে মিছিলে যোগ দিতে নেতাকর্মীরা ওছখালীতে আসার সময় শামীম অনুসারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আজিম অনুসারী অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে আজিমের সমর্থকেরা একত্রিত হয়ে পাল্টা হামলা চালান। সংঘর্ষে শামীম অনুসারীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। আহতদের বেশ কয়েকজন হাতিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

অন্যদিকে শামীম অনুসারী হাতিয়া পৌরসভা যুবদলের সদস্য সচিব কাউছার মোস্তফা বলেন, ওছখালী বাজারের রেডট্রি হোটেলের সামনে থেকে ধানের শীষের সমর্থনে একটি মিছিল বের করা হয়। একই সময়ে তমরদ্দি থেকে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে আজিম অনুসারী আরেকটি মিছিল এসে মুখোমুখি হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি জানান, আজিম অনুসারীরা তাঁদের মিছিলে হামলা চালায়, এতে তারা ১০–১২ জন আহত হন। পরবর্তীতে আজিমের সমর্থকেরা শামীম অনুসারী হাতিয়া পৌরসভা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোকারম বিল্লাহ শাহাদতের বাড়িতে হামলা চালান ও ছররা গুলি ছোড়েন। সড়কে শামীম অনুসারীদের কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুনও দেওয়া হয়। তিনি দাবি করেন, বর্তমানে ওছখালী বাজার এলাকায় নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে রয়েছে।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম আজমল হুদা বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটলেও তার কাছে আহত হওয়ার কোনো তথ্য নেই।

এসএইচ