কুমিল্লা: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কুমিল্লায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল ভোটের মাঠে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। জেলার ১১টি আসনের মধ্যে ৭টিতে মনোনয়নবঞ্চিতরা তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে ৪টি আসনের আন্দোলন আপাতত থামলেও কুমিল্লা-৫, কুমিল্লা-৬ এবং কুমিল্লা-১০ আসনে নেতাকর্মীরা এখনও মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা জেলা বিএনপির একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিল। প্রার্থী ঘোষণার পর বঞ্চিতদের মধ্যে ক্ষোভের স্ফুলিঙ্গ দেখা দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজি আমিনুর রশীদ ইয়াছিনের সমর্থকরা অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে মাঠে অবস্থান নিয়েছেন। কুমিল্লা-৫ আসনে ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মিজানুর রহমান এবং কুমিল্লা-১০ আসনে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার কর্মী-সমর্থকরা মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এসব আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করা হলেও মনোনয়নবঞ্চিতদের অসন্তোষ দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। জেলার অন্যান্য আসনেও একই ধরনের দ্বন্দ্ব ও বিভেদ লক্ষ্য করা গেছে। তারা মনে করছেন, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ এবং প্রতিশ্রুতি ছাড়া এসব দ্বন্দ্ব নিরসন করা কঠিন।
কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সি বলেন, `ধানের শীষের মনোনয়ন চূড়ান্ত হলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। বড় দল হিসেবে নেতাকর্মীর মধ্যে পাওয়া-না-পাওয়ার বেদনা থাকতে পারে। কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।'
কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া বলেন, `মনোনয়নপ্রত্যাশী বেশি হওয়ায় গ্রুপিং-দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে। আমরা দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে কাজ করছি। দলের স্বার্থে সময়মতো সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাবে। কুমিল্লার সবকটি আসনে বিএনপির প্রার্থীরা জয়লাভ করবে।'
এসএইচ