পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় ছাত্রদল নেতা পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে সোহেল আহম্মেদ রুবেল মিয়ার বিরুদ্ধে। আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ফেরদৌস হোসেন খোকন মল্লিক।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মঠবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সকলকে সতর্ক করেন সংগঠনটির উপজেলা আহ্বায়ক ফেরদৌস হোসেন খোকন মল্লিক ও সদস্য সচিব তারেকুজ্জামান তারেক।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঠবাড়িয়ার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, মঠবাড়িয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. মহারাজের ছেলে মো. সোহেল আহম্মেদ রুবেল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে ছাত্রদলের পদধারী নেতা এবং মঠবাড়িয়া থানার দালাল পরিচয় দিয়ে নানা মানুষকে হয়রানি করে আসছেন। বিষয়টি আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, এ অবস্থায় সকলকে অবহিত করা হলো যে- রুবেল মিয়া ছাত্রদলের কোন পর্যায়ের নেতা বা কর্মী নয়। তিনি বিএনপি বা ছাত্রদলের পরিচয় দিয়ে কোনো মানুষকে হয়রানি করলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিন। বিষয়টি অতি জরুরী।
স্থানীয়রা জানায়, ৫ আগস্টের পর রুবেলের কাজই হলো আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে থাকা কারো কোনো ছবি পেলেই তার নামে থানায় মামলা দেয়া। টাকার বিনিময়ে আবার রফাদফা করতেন। যারা টাকা না দিতেন তাদের আওয়ামীলীগের মামলা দিয়ে গ্রেফতার করাতেন।
জানা গেছে, মঠবাড়িয়া আব্দুল ওহাবিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বেলায়েত হোসেনকে ওলামালীগ সাজিয়ে তাকে গ্রেফতার করায় রুবেল। দুই মাস জেল খেটে জামিনে বের হন তিনি। অধ্যক্ষ বলেন, সারাদেশে প্রতিষ্ঠানগুলোতে তৎকালীন সরকারের নেতাদের বাইরে গিয়ে কিছু করা যেতো না। আমি এই নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিলাম না।
মঠবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক খোকন মল্লিক বলেন, রুবেল মিয়া সৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের ৫ই আগস্টের পর মঠবাড়িয়াতে আতংকের নাম হয়ে ওঠে। সে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে নগদ অর্থসহ বেশকিছু সুযোগ সুবিধা নিয়ে আসছিলেন। এনকি এসব মানুষদেরকে ছাত্রদলের পরিচয় দিয়ে ডিবি পুলিশের সহায়তায় এই কাজ গুলো করে আসছিলেন। আমাদের কাছে এসব অভিযোগ আসলে পৌর বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এ সিদ্ধান্ত নেই। রুবেল দলের কেউ না, তাই এসব দায়ভার ছাত্রদল নিবে না। সকলকে বিষয়টি জানানোর জন্য এই বিজ্ঞপ্তিটি দেয়া হয়েছে।
এম