ধামরাইয়ে স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রী খুন

  • ধামরাই প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭, ১০:৫৮ এএম

ঢাকা: ঢাকার ধামরাইয়ের কালামপুর বড় মসজিদ এলাকায় স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় খুন হয়েছেন স্ত্রী শাবনাজ আক্তার। নিহত স্ত্রী ধামরাইয়ের ডুলিভিটা স্নোটেক্স পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত এ ঘটনা ঘটে।

হত্যাকারী স্বামী লিটন মিয়া কালামপুর বিলট্রেড ইঞ্জিনিয়ারিং রঙিন ঢেউটিন কারখানার শ্রমিক। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। এদিকে মায়ের মরদেহের পাশে বসে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে চার বছরের শিশু আহাদ মিয়া।

প্রতিবেশীরা জানা, স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শনিবার রাত ১১টার দিকে তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে স্বামী লিটন মিয়া রান্না ঘরে থাকা রাম-দা দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে তার স্ত্রী শাবনাজকে ক্ষতবিক্ষত ও রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় মৃত্যু নিশ্চিত করতে শাবনাজের দেহ থেকে মস্তক আলাদা করে ফেলে। এরপর সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন মরদেহের গড় গড় আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে এসে শাবনাজের বিচ্ছিন্ন মরদেহ দেখতে পায়। রাতেই ধামরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মরদেহ উদ্ধার করে ধামরাই নিয়ে আসে।

মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।  এ বিষয়ে লিটন মিয়াকে আসামি করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ছয় বছর আগে ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের কালামপুর গ্রামের পরিবহন শ্রমিক শরিফুল ইসলামের মেয়ে মোসাম্মাৎ শাবনাজ আক্তারের সঙ্গে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার সদর গ্রামের লিটন মিয়ার বিয়ে হয়। তাদের ছেলে আহাদ (৪)। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবন বেশ সুখ-সাচ্ছন্দ্যেই চলছিল। বছর খানেক ধরে স্বামী লিটন মিয়া পরকীয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।

নিহত শাবনাজের চাচাত ভাই জুবায়ের হোসেন বলেন, বোন হারানোর বেদনা কোনোমতেই সইতে পারছি না। অবুঝ ভাগ্নের এখন কী হবে? লিটন যে কাজ করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য। আমি ওর দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসি চাই।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ