বিয়ে বাড়িতে হামলা, নারীসহ আহত ১৫

  • বাগেরহাট প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০১৭, ০৩:৪৬ পিএম

বাগেরহাট: জেলার চিতলমারীতে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে নারীসহ অন্তত ১৫ জনকে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষ। এ সময় তারা বসতবাড়ি, বিয়ের প্যান্ডেল ভাঙচুর করে। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের চিংগুড়ি গ্রামের শেখ ইদ্রিস আলীর বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেখানে সংঘাত এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের চিংগুড়ি গ্রামের শেখ ইদ্রিস আলী (৬০), মছিরন নেছা (৪০), রফিক শেখ (৩৫), এহিয়া শেখ (৩৫), বিলকিস বেগম (২৮), জাহিদ শেখ (২০), আশরাফ শেখ (৫০), পারুল বেগম (৫২) ও ইদ্রিস আলী (৫৫)। এরা সবাই ইদ্রিস শেখের আত্মীয়।

ইদ্রিস শেখ অভিযোগ করেন, পার্শ্ববর্তী বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় আমার মেয়ে সুরছিন খাতুনের বিয়ে ঠিক হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার বাড়িতে ছেলে পক্ষের আসার কথা ছিল। বেলা ১২টার দিকে ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমার প্রতিবেশি সোহাগ শেখের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জের ধরে সোহাগ শেখের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি দল লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে আমার বাড়িতে এসে হামলা শুরু করে। এ সময় আমি ও আমার বাড়ির লোকজন তাদের ঠেকাতে গেলে তারা এলোপাথাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে তারা বিয়ের অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে এবং অতিথিদের জন্য রান্না করা খাবার ফেলে দিয়ে চলে যায়। তাদের হামলায় নারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ইদ্রিস শেখের সঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহাগের বিরোধ রয়েছে। সেই পূর্ব বিরোধের জের ধরে ইদ্রিস শেখের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সংঘাত এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে কলাতলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোহাগ শেখের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর