সন্ত্রাসী ইলিয়াস মুন্সির আত্মসমর্পণ

  • ঝালকাঠি সংবাদদাতা | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০১৭, ০৪:৪৭ পিএম

ঝালকাঠি: কাঠালিয়া ও ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ)  বেলা ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত টানা ৯ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের অবসরপ্রাপ্ত মাঠ কর্মী আলমগীর হোসেন হত্যা চেষ্টাসহ একাধিক হত্যা, ডাকাতি ও সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন অপরাধ মামলার আসামি দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ইলিয়াস মুন্সিকে (৩০) আত্মসমর্পণ করাতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

কাঠালিয়া থানা উপ-পরিদর্শক মো. আ. সালাম জানান, উপজেলার পশ্চিম আউরা গ্রামের বাসিন্দা ও সমাজ সেবা অফিসের অপসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আলমগীর হোসেন হত্যা চেষ্টাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি ইলিয়াস মুন্সি ভান্ডারিয়ার শিয়ালকাঠি গ্রামের কুয়েত প্রবাসী নাজির তালুকদারের পরিত্যাক্ত ঘরে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওসি মো. জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে ও ভান্ডারিয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামানের সহযোগিতায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়ে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযান টের পেয়ে ঘরের ভেতর বসে ইলিয়াস মুন্সি আড়ার সাথে দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার প্রস্তুতি নেয় এবং পুলিশকে জানায় আমাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করলেই আত্মহত্যা করব। পরে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন ও অনুরোধের পর রাত ১১টায় সন্ত্রাসী ইলিয়াস মুন্সি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে।

এস আই আ. সালাম আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত ইলিয়াস প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে, একাধিক হত্যা, ডাকাতি, হত্যা চেষ্টা ও সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন স্থানে ৫০টি মামলা ছিল। ইতোমধ্যে ১০/১৫টি মামলা শেষ হয়েছে। বর্তমানে ৩০/৪০টির মত মামলা চলমান আছে। ইলিয়াস মুন্সি উপজেলার পশ্চিম আউরা গ্রামের মো. ইদ্রিস মুন্সির পুত্র।

গত ৪ মার্চ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা পশ্চিম আউরা গ্রামে স্থানীয় সমাজ সেবা অফিসের কর্মী স্বামী-স্ত্রীকে হত্যা চেষ্টায় রড দিয়ে পিটিয়ে আহত ঘটনায় থানায় মামলা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর