চট্টগ্রাম: এ রকম থৈ থৈ পানি দেখা যায় বর্ষাকালে একটানা ভারী বর্ষণ হলে। কিন্তু বর্ষাকাল পেরিয়ে এখন ‘গনগনে উত্তাপের’ গ্রীষ্মকাল। আর কালবৈশাখীর সঙ্গে ঘটে গেছে বর্ষকালের মতো প্রবল বর্ষণ। আর তাতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন সড়ক ও নিচু এলাকা।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে নগরীতে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। তুমুল বৃষ্টির সঙ্গে চলে বজ্রপাতও। বৃষ্টিতে নগরীর মুরাদপুর, ষোলশহর, হালিশহর, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ও অলিগলিতে পানি জমে যায়। পানি ভরে গিয়ে নাকাল অবস্থায় পড়তে হয় নগরবাসীকে।
ভোর থেকে ৯টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টির পর তোড় কিছুটা কমলেও ১০টার পর আবার বাড়তে শুরু করে। ঝড়বৃষ্টির মধ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকা সকাল থেকেই বিদ্যুৎহীন। বিকেল পর্যন্ত আবহাওয়া অফিস ১৪৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
জলাবদ্ধতায় চরম বিপাকে পড়েছেন নগরবাসী। পানির কারণে বিভিন্ন স্থানে ছুটির দিনেও যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। নিচু এলাকায় বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। মুরাদপুরের প্রধান সড়কে কোমর সমান পানি। টানা বৃষ্টিতে ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়েও পানি জমে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের মাঠে প্রায় তিন ফুট পানি জমেছে। গ্যারেজ, ফুয়েল রুম, প্রশাসনিক ভবনেও পানি ঢুকেছে। মাঠে রাখা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সরঞ্জাম পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রমেও জটিলতা সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক জসীম উদ্দিন।
নগরবাসীর অভিযোগ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্তমান ও সাবেক মেয়রের মধ্যে চলছে চরম অন্তর্দ্বন্দ্ব। তাদের বাকযুদ্ধ আর লোক দেখানো হাতে হাত রাখার নাটকীয়তায় বিরক্ত নগরবাসী। এসব জটিলতার মধ্যে গেল বর্ষার আগে খালগুলো খনন করা হয়নি। এজন্য হঠাৎ বর্ষণে এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, কালবৈশাখীর সঙ্গে ভারীবর্ষণ শনিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এজন্য কোনো সংকেত দেখাতে বলা হয়নি।
সোনালীনিউজ/এন