মানবপাচার চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

  • নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০১৭, ০৪:৪৪ পিএম

নারায়ণগঞ্জ: জেলার ফতুল্লায় ভাল চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়া পাঠিয়ে আটক করে মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগে মানবপাচার চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় বিভিন্ন লোকদের আটক করে মুক্তিপণের আদায় করা নগদ ৫ লাখ ২০ হাজার টাকাসহ দুটি মোবাইল জব্ধ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা মডেল থানায় ওই দুই প্রতারককে সোপর্দের পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গ্রেপ্তারকৃত দুইজন হলেন- জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার মালঞ্চ এলাকার আবদুল জলিলের ছেলে হযরত আলী (৩৮) ও ফতুল্লার পাগলা হাইস্কুল সংলগ্ন দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২)। মামলায় এ দুইজন ছাড়াও তাদের সহযোগী পলাতক জামালপুরের মালঞ্চ এলাকার আবদুল জলিলের ছেলে হারুন (৩৫) ও ফতুল্লার পাগলা এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে দুলাল হোসেনকে (২৮) আসামি করা হয়েছে। পলাতক দুইজন লিবিয়াতে অবস্থান করছে।

মামলার বাদী নরসিংদী জেলার বেলাবো চরলক্ষ্মীপুর এলাকার তোতা মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান জানান, তার ছেলে মেহেদি হাসান হৃদয় ও প্রতিবেশী সেলিমকে ভালো চাকরির প্রলোভনে ৬ মাস আগে লিবিয়া নিয়ে যায়। গত ৫ এপ্রিল দুলাল ইমু নাম্বার থেকে মিজানুরকে ফোন করে জানায় যে তার হেফাজতে মেহেদী ও সেলিম আছে। তাদের মুক্তি চাইলে জনপ্রতি ৫০ হাজার করে টাকা দিতে হবে। তখন দুলালের ভাই পরিচয় দেয়া গ্রেপ্তারকৃত সাইফুলের সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলা হয়। পরে মিজানুর রহমান লিবিয়াতে ফোন করে মেহেদীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানতে পারে তাকে ও সেলিমকে হারুন ও দুলাল আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করছে। ফোনে প্রায়শই সেই নির্যাতনের শব্দও শোনানো হতো।

গত ২২ এপ্রিল মিজানুর রহমান নগদ ৩০ হাজার টাকা ফতুল্লার পাগলা এসে সাইফুলকে দেয়। কিন্তু সেদিন রাতেই আরো ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে সাইফুল। কিন্তু মিজানুর রহমান অপরাগতা প্রকাশ করলে লিবিয়াতে মেহেদী ও সেলিমকে আরো মারধর করা হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে গত ২৬ এপ্রিল ফতুল্লার পাগলা হতে সাইফুলকে আটক করে। তখন সে স্বীকার করে তার ভাই দুলাল ও হারুন মিলে লিবিয়াতে অবস্থান করাকালে বাংলাদেশি বিভিন্ন নাগরিকদের অন্যায়ভাবে আটক রেখে মারধর করে আত্মীয়দের কাছ থেকে অন্তত ৩০ থেকে ৩২ লাখ টাকা ইতোমধ্যে হাতিয়ে নিয়েছে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাইফুল ও হযরত আলীর বাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করে।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামালউদ্দিন জানান, দুইজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। চক্রের অপর সদস্যদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর