মুক্তিযোদ্ধা বাছাইয়ে অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন

  • ফরিদপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৮, ২০১৭, ০৪:২৩ পিএম

ফরিদপুর: সদর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ক্ষুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধারা।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে মুজিব সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয় ।

মানববন্ধনে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি নূর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল হক, জেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বেপারী, মরহুম মুক্তিযোদ্ধা কে এম এনায়েত ইসলামের স্ত্রী মেহেরুননেসা।

বক্তারা অভিযোগ করেন, এই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া একটি মহলের ইঙ্গিতে করা হয়েছে। এতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে বাদ দেয়া হয়েছে এবং রহস্যজনকভাবে অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে।

তারা আরো অভিযোগ করেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সদর উপজেলায় যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলে। পরে হাইকোর্টে রিটের জন্য দুই মাস কাগজপত্র ফাইলবন্দি করে রাখা হয়। ওই সময় কমিটির সদস্য সচিব সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বদলি হয়ে যাওয়ার সুযোগে একটি কুচক্রি মহল প্রভাব খাটিয়ে তালিকা নয়-ছয় করে তাদের পছন্দের মানুষদের অনৈতিকভাবে তালিকাভুক্ত করে। এমনকি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে জামুকায় (জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা  কাউন্সিল) তালিকা পাঠিয়েছে।

ক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধারা এক লিখিত বক্তব্যে জানান, যাচাই-বাছাই করে ফরিদপুর সদরে ৩৪ জন ব্যক্তিকে নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং ভারতে ট্রেনিংপ্রাপ্ত প্রকৃত জীবিত ও প্রয়াত অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেয়ার সুপারিশ করে জামুকায় প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। এ যাচাই বাছাই কমিটি একে অপরের যোগসাজসে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করেছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিয়েছে।

বিষয়গুলো তদন্তপূর্বক সঠিক তালিকা প্রণয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং জামুকার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম