আন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হত্যায় স্বামী-দেবরের ফাঁসি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৮, ২০১৭, ০৮:২৯ পিএম

রংপুর: জেলার তারাগঞ্জ উপজেলায় কল্পনা রানী নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী নিপেন চন্দ্র (৩৫) ও তার ভাই লক্ষণ চন্দ্রকে (৩২) ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় দেন।

ফাঁসিরদণ্ডপ্রাপ্ত নিপেন চন্দ্র ও লক্ষণ চন্দ্র তারাগঞ্জের সয়ার ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামের মৃত ধীরেন চন্দ্র রায়ের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় নিপেন আদালতে উপস্থিত থাকলেও লক্ষণ পলাতক ছিলেন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের মার্চ মাসে গঙ্গাচড়া উপজেলার মনোকষা গ্রামের সুধীর চন্দ্র রায়ের মেয়ে কল্পনা রানীর সঙ্গে নিপেনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় কল্পনার বাবা যৌতুক হিসেবে কিছু টাকা ও আসবাবপত্র দেন। কিন্তু নিপেন এতে সন্তুষ্ট না হয়ে আরো যৌতুক দাবি করেন এবং বিভিন্ন সময় কল্পনার ওপর শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন চালাতেন।

২০০৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে এ নিয়ে নিপেন ও তার পরিবারের সদস্যরা অন্তঃসত্ত্বা কল্পনাকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টার দিকে মারা যান কল্পনা। খবর পেয়ে সকালে তারাগঞ্জ থানা পুলিশ কল্পনার মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহতের ভাইয়ের শ্যালক সতীশ চন্দ্র বাদী হয়ে নিপেন তার মা সমীত্রী রানী ও ছোট ভাই লক্ষণ চন্দ্রকে আসামি করে তারাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ঘটনার দিনেই ওই বাড়ি থেকে সমীত্রী রানী ও নিপেনকে গ্রেপ্তার করলেও সেই থেকে দেবর লক্ষণ চন্দ্র পলাতক রয়েছেন।

তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই বছরের ১৫ মে ৩ জনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন তরাগঞ্জ থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মমতাজুল ইসলাম।

পরবর্তীতে সমীত্রী রানী জামিনে বেরিয়ে আসেন এবং মামলা চলাকালীন সময়ে মৃত্যুবরণ করেন। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্টপক্ষে ছিলেন, পিপি আকতারুজ্জামান পলাশ এবং আসামি পক্ষে ছিলেন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ ফারুক আলম মামলাটি পরিচালনা করেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম