পঞ্চগড়: জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে ‘আত্মহত্যাকারী’ স্কুলছাত্রী রহিমা আক্তার সোনিয়ার লাশ ফের ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) আদালতের নির্দেশে ওই স্কুলছাত্রীর লাশ উত্তোলন করা হয়।
এদিকে সোনয়িার আত্মহত্যার জন্য অভিযুক্ত গ্রেপ্তার দুই যুবক মনসুর আলী রাজন ও আতিকুর রহমান আতিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তেঁতুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুস সবুর জানান, ধর্ষণের আলামত সংগ্রহে আদালতের নির্দেশে পুনঃময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার সোনিয়ার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তেঁতুলিয়ার কাজী শাহাবুদ্দিন গার্লম স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সোনিয়া গত ১০ অক্টোবর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ওই স্কুলছাত্রী কালারাম জোত গ্রামের দিনমজুর জাহেরুল ইসলামের মেয়ে।
গত ১৪ অক্টোবর সম্ভ্রমহানি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে সোনয়িার মা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড বয় মনসুর আলী রাজন ও ফ্ল্যাক্সিলোড ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
তেঁতুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুস সবুর জানান, একই আদালতে সোমবার (১৬ অক্টোবর) আত্মসমর্পণকারী আসামি রাজন ও আতিককে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত উভয়ের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।
তেঁতুলিয়া থানার ওসি সরেস চন্দ্র জানান, সোনিয়ার আত্মহত্যার ঘটনাটিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এ জন্য লাশের পুনঃময়নাতদন্ত ও আসামিদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, প্রায় ৩ মাস আগে সোনিয়া তার অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে বাজারে যাওয়ার সময় রাজন তাকে সহযোগিতা করার কথা বলে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে উপজেলা সদরে আতিকের বাসায় নিয়ে যায়।
সেখানে নিয়ে রাজন ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এসময় আতিক তা ভিডিও করে। পরে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আতিকও তাকে ধর্ষণ করে।
এরপর থেকে ওই দুই যুবক অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ করা ও মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে সোনিয়াকে গত তিন মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছিল।
সোনালীনিউজ/এমএইচএম