আ.লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টভূক্ত বিএনপি নেতার মামলা!

  • মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০১৭, ০৭:০৭ পিএম
ফাইল ফটো

মুন্সীগঞ্জ: জেলার শ্রীনগর উপজেলায় একাধিক মামলার দীর্ঘদিনের ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামি বিএনপি নেতা গোলাম মাওলা কায়েস থানায় গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছে।

গত ১৩ নভেম্বর উপজেলার কোলাপাড়া ইউপি আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ-সম্পাদক আতাহার হোসেন, ইউনিয়ন সহ-সভাপতি হাসেম হাওলাদার, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন সানি, সাংগঠনিক-সম্পাদক  নূর-নবী অন্তুসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে  ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-১৫।

গোলাম মাওলা কায়েস দক্ষিণ কোলাপাড়া গ্রামের খালেকের পুত্র এবং কোলাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।

শ্রীনগর থানার উপ পরিদর্শক মো. ফিরোজ আলী মোল্লা জানান, বিএনপি নেতা গোলাম মাওলা কায়েস ৪টি মামলাসহ ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি। কিভাবে একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি এসে মামলা দায়ের করে পালিয়ে যায় তা জানা নেই। পুলিশ কায়েসকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

শ্রীনগর থানার পুলিশ উপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, মামলা হওয়ার পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নির্ধারণ করা হয়। পূর্বে তার বিরুদ্ধে যেসব মামলা ছিল তার তদন্ত কর্মকর্তারা বর্তমানে শ্রীনগর থানায় নেই।

শ্রীনগর থানার ওসি এস এম আলমগীর হোসেন জানান, বিএনপি নেতা গোলাম মাওলা কায়েসের বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে তার মধ্যে একটি মামলায় হাজিরা রয়েছে। আরেকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট রয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ওয়ারেন্ট রয়েছে। মামলাগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

মামলাভুক্ত আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, কায়েস দীর্ঘদিন ধরে একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামি থাকা সত্বেও পুলিশের সহযোগিতায় থানায় হাজির হয়ে মামলা হওয়ার পর গোলাম মাওলা কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের এসআই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ নেতৃত্বে একটি টিম কোলপাড়া ইউনিয়নে আসামিদের ধরার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।

এদিকে ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামিকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের এহেন অভিযানে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী।

কোলাপাড়া ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি এম.এত উল্লা কিসমৎ বলেন, আমার ইউনিয়নের নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশের এ ধরণের আচরণে আমরা বিস্মিত। একজন পলাতক ওয়ারেন্টভূক্ত আসামির দায়ের করা মামলার কি করে আসামিদের পুলিশ ধরতে যায়, এটাই এলাকাবাসীর প্রশ্ন।

মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম পিপিএম জানান, এই বিষয়ে অবগত নই। যদি ঘটনার সত্যতা মিলে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম