ছাত্রলীগ নেতার হামলায় নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

  • শরীয়তপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৭, ২০১৮, ০৮:৪০ পিএম
প্রতীকী ছবি

শরীয়তপুর: ছাত্রলীগ নেতার হামলায় আহত নির্মাণ শ্রমিক মোস্তফা বেপারী (৪০) মারা গেছেন। শনিবার (২৬ মে) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এর আগে মঙ্গলবার (২২ মে) রাতে ডামুড্যা উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক তন্ময় খান ও তার চাচা সুজন খানের হামলায় আহত হন ওই শ্রমিক আহত হন। ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন তারা।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দারুল আমান গ্রামের জনাবালী বেপারীর ছেলে মোস্তফা বেপারী রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। ওই গ্রামের সুজন খানের সঙ্গে কাজ করা নিয়ে তার বিরোধ হয়। এর জেরে মঙ্গলবার (২২ মে) রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক তন্ময় খান ও তার লোকজন নিয়ে মোস্তফাকে মারধর করে আহত করেন। বুধবার (২৩ মে) তাকে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার (২৪ মে) তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তিন দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৬ মে) রাতে মোস্তফা বেপারি মারা যান।

এদিকে এ ঘটনায় শ্রমিক মোস্তফা বেপারীর শ্বশুর আলী চাঁন সরদার তন্ময় খানসহ চার ব্যক্তিকে আসামি করে ড্যামুডা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর থেকে তন্ময় খান ও তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছেন।

দারুল আমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তন্ময় খানের বাবা মোক্তার হোসেন খান বলেন, ‘সুজনের সঙ্গে মোস্তফার বিরোধের বিষয়টি সমঝোতার উদ্যোগ নিতে তন্ময় সেখানে গিয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে তন্ময়কে মামলায় আসামি করা হয়েছে। পারিবারিক প্রয়োজনে তন্ময় ঢাকায় রয়েছে। বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবিলা করব।’

মোস্তফা বেপারীর ভাই হানিফ বেপারী বলেন, ‘তন্ময় ও সুজন আমার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তাদের আঘাতে আমার ভাইয়ের অন্ডকোষ ফেটে গিয়েছিল। ঢাকা মেডিকেলে তিন দিন আইসিইউতে রাখার পর গত রাতে আমার ভাই মারা গেছে।’

ডামুড্যা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছিল। ওই মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করা হবে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

সোনালীনিউজ/এমএইচএম