কারাগার চত্বরে বিক্রি হবে কালা পাহাড়

  • কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০১৮, ০৭:৩৯ পিএম

কিশোরগঞ্জ: জেলখানায় জন্ম। বয়স ৩ বছর ২ মাস। শান্ত প্রকৃতির দেশি ষাঁড় কালা পাহাড়। কোরবানির জন্য প্রস্তুত। তবে কারাগার চত্বরের চার দেয়ালের বাইরে যায় না কালা পাহাড়। তাই কালা পাহাড়ের মালিক জেল সুপার চান না ষাঁড়টি বাইরে বিক্রি হোক। তিনি মনে করেই কারাগার চত্বরে বিক্রি হবে ষাঁড়টি। দাম হাঁকা হয়েছে ৮ লাখ টাকা।

কিশোরগঞ্জ কারাগারের সুপার মো. বজলুর রশীদের বাসভবন কারাগার চত্বরে। এর পাশ ঘেষেই গরুর খামার। জেল সুপার বজলুর রশীদ তার বাসভবনের কাছে ব্যক্তিগতভাবে গড়ে তুলেছেন গরুর খামার। এখানেই জন্ম কালা পাহাড়ের। তার খামারে বর্তমানে দুটি ষাঁড়, তিনটি গাভি ও দুটি বাছুর রয়েছে। কালা পাহাড় তার খামারের সবচেয়ে বড় এবং দৃষ্টিনন্দন। তাই কালা পাহাড়কে ঘিরে সবার আগ্রহ একটু বেশি। অনেকে ষাঁড়টি দেখতে আসছেন। দরদামও করছেন কেউ কেউ। কালা পাহাড়ের ওজন ২৭ মণ ৩৩ কেজি।

সোমবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জ কারাগার চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, জেল সুপারের বাসার সামনে একটি টিনশেড ঘরে কালা পাহাড়কে গোসল দিচ্ছে এক কর্মচারী। জেল সুপার দুপুরের খাবার খাওয়ার পর এটির পরিচর্যা শুরু করেন। খামারে রয়েছে উন্নত প্রজাতির আরও দুটি গাভি। এগুলোর এখনো দুধ দেয়ার সময় হয়নি।

জেল সুপার মো. বজলুর রশীদ জানান, ২০০৭ সালে ঝালকাঠি কারাগারে থাকার সময় থেকে তিনি গরুর খামার করছেন। অফিসে কাজের ফাঁকে ফাঁকে খামারে গরুর যত্ন নেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, গরু পালন আমার শখ। ওদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালো লাগে। পাশাপাশি গরু পালনে লাভও হয়। খামারের গরুর গোবর কারাগারের ভেতরে সবজি বাগানে জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

কালা পাহাড় আমার খুবই প্রিয় উল্লেখ করে জেল সুপার বলেন, সামনের কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য কালো পাহাড়কে প্রস্তুত করা হয়েছে। কালো পাহাড়কে ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করা হবে। এখন পর্যন্ত দাম উঠেছে সাড়ে ৬ লাখ টাকা। তবে কালা পাহাড়কে কোরবানির হাটে তোলা হবে না। খামার থেকেই বিক্রি করা হবে। আর কালা পাহাড় বাইরে বিক্রি হোক আমি তা চাই না। এখানের ভেতরের কোনো এক বাসিন্দা কালা পাহাড় কিনবেন বলে আমার বিশ্বাস।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম