টেকনাফে অর্ধশতাধিক ট্রলারে ডাকাতি

  • কক্সবাজার প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০১৯, ০৮:৩৮ পিএম

কক্সবাজার: বঙ্গোপসাগরে কক্সবাজারের টেকনাফের অর্ধশতাধিক মাছ ধরার ট্রলার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জলদস্যু বাহিনী জেলেদের মারধর করে ট্রলারে থাকা মাছ ও জাল লুট করে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন উপকূলে ২৫টি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে। এর আগে শনি (১৬ মার্চ) ও রোববার (১৭ মার্চ) আরো ২৭টি ট্রলারে ডাকাতি হয় বলে জেলেরা জানিয়েছেন।

ডাকাতি হওয়া ট্রলারের মালিকদের মাঝে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছেন তারা হলেন, মো. কাশেম, এমদাদ উল্লাহ মাঝি, জাহেদ উল্লাহ, নুরুল ইসলাম, বাদশা মিয়া, মো. বাবুল, মো. হাসান, মো. জাফর, মো. সিরাজ, মো. মিজান। তারা টেকনাফের সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ ও সদরের বাসিন্দা।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে শাহপরীর দ্বীপ মৎস্যজীবী অগ্রণী বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান বিষয়টি নিশ্চত করে বলেন, সেন্টমার্টিন উপকূলে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ২৫টি ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের জাল ফেলে জেলেরা অপেক্ষা করছিল। সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ ২০-২৫ জনের জলদস্যু বাহিনী ট্রলারে হামলা করে। এসময় জেলেদের মারধর করে জাল ও মাছ লুট করে নিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয় কেস্টগার্ডকে অবহিত করা হয়েছে।

এফবি এমদাদ উল্লাহ বোটের মাঝি শামসুল আলম বলেন, শুক্রবার (১৫ মার্চ) ১০ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে প্রতিদিনের মতো বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাই। সর্বশেষ সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে মাছ ধরতে সাগরে জাল ফেলি। এরপর হঠাৎ করে দুইটি বড় ট্রলার এসে অস্ত্র ঠেকিয়ে ঘিরে ফেলে। পরে ট্রলারে উঠে মারধর করে মাছ ও জাল লুট করে নিয়ে যায়। তার মতো অনেক মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে।

সাবরাং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ফজলুল হক বলেন, সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ২৫টির মতো ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে। এর আগে আরও অনেক ট্রলার ডাকাত দলের খপ্পরে পরে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

ডাকাতির শিকার বোট মালিক মো. কাশেম বলেন, সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া তার ট্রলারটিতে সোমবার (১৮ মার্চ) ভোরে ডাকাতি হয়। এতে তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ডাকাতের ভয়ে জেলেরা মাছ ধরতে যাচ্ছে না।

র‌্যাব-১৫ টেকনাফ ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. মির্জা শাহেদ মাহতাব বলেন, সাগরে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির খবর শুনেছি, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম