জুলাই গণহত্যা

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আজ ষষ্ঠ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৫, ১১:০০ এএম

ঢাকা: জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বুধবার (২০ আগস্ট) ষষ্ঠ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।

এর আগে গত সোমবার (১৮ আগস্ট) পঞ্চম দিনের সাক্ষ্য-জেরা শেষ হয়। ওইদিন সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত তিনজন সাক্ষী নিজেদের জবানবন্দি দেন। 

তারা হলেন— শহীদ আস-সাবুরের বাবা মো. এনাব নাজেজ জাকি, শহীদ ইমাম হাসান তাইমের ভাই রবিউল আউয়াল এবং রাজশাহীর প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিন।

[254953]

জবানবন্দি শেষে সাক্ষীদের জেরা করেন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।

এ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও আসামি হিসেবে আছেন। তবে তিনি নিজের দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।

এখন পর্যন্ত মামলাটিতে ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ১৭ আগস্ট সাক্ষ্য দেন চারজন— সবজি বিক্রেতা আবদুস সামাদ, মিজান মিয়া, শিক্ষার্থী নাঈম শিকদার ও শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহীনা বেগম। এর আগে ৬ আগস্ট প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দেন রিনা মুর্মু ও সাংবাদিক একেএম মঈনুল হক। ৪ আগস্ট জবানবন্দি দেন আন্দোলনে পঙ্গু হওয়া শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরান এবং চোখ হারানো দিনমজুর পারভীন। মামলার প্রথম দিনে (৩ আগস্ট) সাক্ষ্য দেন আন্দোলনে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার আনুষ্ঠানিক অভিযোগের মধ্যে তথ্যসূত্র রয়েছে দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠায়। মামলায় সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন মোট ৮১ জন। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তারা।
 
ওএফ