প্রণোদনার অর্থ ছাড়ে আইন না মানলে ব্যবস্থা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২০, ০৮:১৯ পিএম

ঢাকা: সরকার ঘোষিত প্রণোদনার অর্থ ছাড়ে ব্যাংকগুলো আইন না মানলে ব্যবস্থার ইঙ্গিত দিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেন, করোনা মহামারীকালে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে সরকার অর্থ দেয়ার পরও ‘প্রণোদনার বড় একটা অংশ’ যাচ্ছে না।কেন এমন হচ্ছে সেটা অর্থ সচিব ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে খতিয়ে দেখতে হবে। 

কোভিড-১৯ মোকাবিলা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের দেয়া প্রণোদনা প্যাকেজের দ্বিতীয় সভা ‘কর্মসৃজন ও গ্রামীণ অর্থনীতি পুনরুজ্জীবন’ শীর্ষক সিরিজ মতবিনিময় সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অর্থ সচিব আব্দুর রউফ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির উপস্থিত ছিলেন।

মহামারি করোনার জন্য ঘোষিত প্রণোদনার অর্থের বড় একটা অংশ যাচ্ছে না জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চ্যানেলটা ব্যাংকিং। আমি কাউকে দোষ দেব না, এখানে অর্থ সচিব ও গভর্নর আছেন ব্যাংকগুলো থেকে অনেকেই সহায়তা পাননি। কেন এটা হলো? আমাদের অর্থ ছিল, অর্থ দিয়েছি।’

‘আজকে এখানে অর্থ খাতের দুই প্রধান ব্যক্তি এখানে আছেন। আইন মানতে তারা বাধ্য, আইন আইনই তা অসম্মান করা যাবে না। তাহলে কী করতে হবে? আমাদের তথ্য হলো কেউ কেউ আইন মানছেন না। যদি কোনো ব্যাংক আপনার কথা না মানে তাহলে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিতে পারেন। কারণ আমরা সবাই একই পথের যাত্রী।’

কথা না শুনলে আইন না মানলে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিতে হবে উল্লেখ করে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘একইসঙ্গে প্রণোদনার পর প্রণোদনা এটাও সঠিক মাধ্যম নয়। এ জন্য প্রণোদনা ভর্তুকি কমিয়ে যদি পলিসি সার্পোট বেশি দেই ও সংস্কার করি তাহলে আমাদের রিটার্ন বেশি হবে। আমাদের উদারতার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর কৌশলের মূল বার্তা সাবলম্বী করা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক অর্জন আছে। কিন্তু কাজ করতে হবে। আমাদের সবাইকে সার্বিকভাবে নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যাটা হলো মিস টার্গেটিং। এর ফলে আমরা সার্বিকভাবে রিটার্ন কম পাচ্ছি।’

মন্ত্রী বলেন, দেশের অধিকাংশ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ নেই, তারা পারিবারিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে। তারা ব্যাংকে যায় না, আসেও না। তাদের ব্যাংকের আওতায় আনতে উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে প্রণোদনা কাজে আসবে না। কারণ মানুষ টাকা চায় বা লাগে।

এম এ মান্নান বলেন, গত কয়েক বছর আমাদের অর্থনীতিতে সফল্য অর্জিত হয়েছে। আমরা যে কৌশলে সাফল্য অর্জন করেছি সেটা হলো প্রধানমন্ত্রী দিকনির্দেশনায়। আমরা আমাদের অর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ভালো কাজ করছি। ফলে করোনাকালেও আমাদের অর্থনীতি ও অর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অনেক উপকার হয়েছে।

সোনালীনিউজ/আইএ