১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৯৬৪২ কোটি টাকা  

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম

ঢাকা: আর কয়েকদিন পরই পবিত্র ঈদ উল আজহা। মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় এ উৎসবকে কেন্দ্র ক‌রে কোরবানির পশু কেনাসহ পরিবার-পরিজনের বাড়তি খরচের কথা মাথায় রেখে বেশি বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ফলে ঈদ ঘিরে বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

কেন্দ্রীয় ব্যাং‌কের সবশেষ তথ্য বলছে, চলতি মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা) এই অঙ্ক ১৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেমিট্যান্স ৩ বিলিয়ন ডলার পৌঁছাবে বলে আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

প্রবাসী আয়ে একের পর এক রেকর্ড হতে থাকে। এরমধ্যে দেশের ইতিহাসে একক কোনো মাসে সর্বোচ্চ এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে যথাক্রমে গত মার্চ ও এপ্রিলে।

[249526]

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো এপ্রিলে
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, মে’র প্রথম ১৭ দিনে ১৬১ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এরমধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৯ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ডলারের বেশি। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯৬ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩১ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

অন্যদিকে, কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯টি। এরমধ্যে রয়েছে বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক এবং সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

যেসব কারণে রেকর্ড গড়ছে রেমিট্যান্স
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এরপর আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার এবং সবশেষ এপ্রিলে রেমিট্যান্স আসে ২৭৫ কোটি ডলারের।

এআর