ঢাকা: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি লিটার বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম যথাক্রমে বাড়ানো হয়েছে প্রতি লিটারে ৬ ও ৭ টাকা। এছাড়া প্রতি লিটার পাম তেলের দাম ১৬ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ৩৩ টাকা।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ নতুন মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী-বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ৬ টাকা বাড়িয়ে ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ৭ টাকা বাড়িয়ে ১৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া বাজারে পাঁচ লিটারের প্রতি বোতল সয়াবিন তেল ৯৫৫ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৬ টাকা।
এর আগে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এককভাবে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোয় ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। গত বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
ব্যবসায়ীরা শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধ করে থাকলে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ওইদিন উপদেষ্টা বলেছিলেন, ‘নিশ্চিতভাবে, কেন নেব না? আইনসঙ্গত আমাদের যে ব্যবস্থাগুলো আছে আমরা সবগুলো নেব।’
তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেও, সরকার এ ব্যাপারে কিছুই জানত না। এর আগেও ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ালে সরকার সেটি মেনে নেয়নি, ব্যবস্থা নিয়েছিল। প্রায় আড়াই মাস আগের দামেই বিক্রি হয়েছে।’
তবে দাম বাড়ানোর যৌক্তিক কোনো কারণ থাকলে সেটা নিয়ে আলোচনা করা হবে বলেও জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ব্যবসায়ীদের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ আছে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রণ আছে কি নেই, সেটা আমাদের পদক্ষেপের মাধ্যমে জানতে পারবেন। নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই আছে।
পিএস